ভারতের ইতিহাসে নতুন নজির – রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালতের রুল জারি
নিউজ ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার – এই দুটোই সাংবিধানিক পদ। এদের মধ্যে সংঘাত সাধারণভাবে হয় না। কিন্তু বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচকে কেন্দ্র করে তৈরী হয় সাংবিধানিক সংকট। আদালতে হাজির হতে হবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোর্টের নির্দেশের অবমাননা করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অবমাননার কাজ করেছেন বলেই মনে করছে আদালত। অবমাননার আইন অনুযায়ী রুল জারি করার নির্দেশ রয়েছে। রুল জারি অর্থাৎ আদালতে আসতে হবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে।
এবার রাজীব সিনহাকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে আদালতে। আগামী ২৪ নভেম্বর আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে কমিশনারকে। এই ঘটনা কার্যত বেনজির। এর আগে এ রাজ্যে কোনও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে এরকম রুল জারি করার নজির নেই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলাতেই এই রুল জারি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন শাসক দলের হয়ে কাজ করেছেন – এমন বহু অভিযোগ বিরোধীরা করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ঝামেলা শুরু হয় রাজ্যে। এ নিয়ে মামলাও হয়। একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরমধ্যে অন্যতম নির্দেশ ছিল, যদি কোনও হিংসা হয়, তার দায় নিতে হবে কমিশনারকে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই বিরোধী দলের নেতা আদালতে যান। আদালতের যাবতীয় নির্দেশকে সামনে রেখে এই মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টের যে নির্দেশ, তা মান্যতা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তার জবাবও দিতে হবে কমিশনকে। এই মামলার শুনানিপর্ব চলে। সবপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে শুক্রবার আদালত মনে করেছে প্রকৃত অর্থেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালত অবমাননা করেছে। সাধারণভাবে আদালতের রুল জারি করার অর্থ, যাঁর নামে এই রুল জারি হচ্ছে, তাঁকে হাজির হতে হবে আদালতে।