ইনিই নাকি বাংলার সাংসদ নুসরত
নিউজ ডেস্কঃ বাংলার ধৰ্মীয় সংস্কৃতি চিরকাল উদার ও ধর্ম নিরপেক্ষ। কিন্তু তিনি একজন সাংসদ। বিধায়ক, মন্ত্রী বা সাংসদদের অনুসরণ ও অনুকরণ করার রীতিও বাংলায় আছে। তৃণূমূলের সাংসদ নুসরত বার বার করেই বিতর্কে জড়িয়ে নিজের অনুগামীর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কখনো বিয়ে করে স্বামীর নাম বলেন না, কখনো বিয়ের পড়েই হঠাৎ ডিভোর্সের খবর পাওয়া যায়। কখনো তিনি মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও শাখা সিঁদুর পরে ঘোরেন। কখনো বা স্বল্পবসনা হয়ে দিব্যি ফটো শুট করেন। আর এবার পবিত্র মহালয়ায় তাঁর নতুন ছবি।
মহালয়ার দিনে নিজেদের ছবি পোষ্ট করার রীতি আছে টলি পাড়ায়। মিমি চক্রবর্তীই হন অথবা অন্য কেউ। পিছিয়ে নেই নুসরত জাহানও। মহালয়ার সকালে মাথায় লাল সিঁদুর, হাতে শাঁখা পলা পরে এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন তিনিও। কিন্তু সে কারণে যে তাঁকে এভাবে ট্রোলের মুখে পড়তে হবে, তা হয়তো নিজেও ভাবেননি নুসরত। নুসরত যে পোশাকটি পরেছিলেন তা আদপে এক লাল পেড়ে সাদা শাড়ি। তবে কোনও ব্লাউজ পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। পরলেও তা ব্যাকলেস। খোলা কাঁধ, উন্মুক্ত পিঠ দেখেই তাঁর দিকে উড়ে এল সমালোচনা। এটা অন্তত বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন নয়। হ্যাঁ, হতে পারে টলি পাড়ায় এটা ততটা সমস্যা নয়, কিন্তু তিনি যে একজন সাংসদ!!
স্বাভাবিক কারণেই বাংলার সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষেরা এতে ক্ষুব্ধ। অনেকেই অনেক নেগেটিভ মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, “আজকের দিনে অন্তত এমন পোশাক নাই পরলেন।” ধর্ম নিয়ে বহুবার ট্রোল্ড হয়েছেন নুসরত। নিজে মুসলিম হলেও অন্য ধর্মের উৎসবে শামিল হওয়ায় অনেক কিছু শুনতেও হয়েছে তাঁকে। যদিও নুসরত বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি ‘ভগবানের নিজের সন্তান’। কিন্তু এবার তাঁর দিকে কটাক্ষ উড়ে এল ধর্ম নিয়ে নয়, বরং পোশাক নিয়েই শুনতে হল তাঁকে। অভিনেত্রী-সাংসদ যদিও এই সমালোচনা নিয়ে চুপ। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ মহালয়া’। একবার ভাবতে হবে, তিনি যদি সাংসদ বা কোনে রাজনৈতিক দলের নেত্রী না হতেন, যদি একজন সাধারণ বঙ্গনারী হতেন, তাহলে কোনো ভয় বা দ্বিধা না রেখে কিভাবে তার সমালোচনা করা হতো!