কালী পুজোর দিন মা তারাকে বিশেষ কি ভোগ নিবেদন করা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ বীরভূমের তারাপীঠ সতীর একান্নপীঠের অন্যতম পীঠস্থান। তারাপীঠে সারা বছর তিনি মা তারা নামে পূজিত হন। আবার কালীপুজোয় এই তারাপীঠের মা’ই তারা কালী রূপে পূজিত হয়ে থাকেন। কালী পুজোর রাতে মা তারা স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত হন। আর স্বর্ণালঙ্কার শোভিত রাজ রাজেশ্বরী বেশে মা তারার দর্শন পাওয়ার জন্য কালী পুজোর দু’দিন আগে থেকেই তারাপীঠে দর্শনার্থীরা ভিড় করতে শুরু করেন।]
অন্যান্য অমাবস্যা তিথির থেকে কালীপুজোর দিন গভীর রাতে সেবায়েতদের মতে নিশিপুজো হয় তারা মায়ের। নিশি পুজোর সময় মা তারাকে স্নান করিয়ে বেনারসী শাড়ির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত করা হয়। তারাময়বাবু ও ধ্রুববাবু জানান, কালীপুজোর দিন মা তারার জন্য দু’বেলা অন্নের ভোগ হয়।
বিশেষ ভোগে নিবেদন করা হয় খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, দু-তিন রকমের তরকারি ও নানা রকমের মাছের পদ। একই সঙ্গে মন্দির চত্বরে ছাগ বলিদানের মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও সন্ধ্যারতির সময় লুচি-মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয় তারাপীঠের মা কালীকে।
কালীপুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বর-সহ তারাপীঠ শ্মশান এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগামী দিনে তারাপীঠ মন্দিরে অত্যাধুনিক ভোগঘর থেকে সৌর উনুনে ভোগ রান্নার ব্যবস্থা হবে। মন্দির চত্বরে মা তারার আরতি দর্শনের বিশেষ বন্দোবস্ত থাকবে।