পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে দেবী সতির একটি জাগ্রত পিঠস্তান,জানেন কি?

0 0
Read Time:2 Minute, 46 Second

নিউজ ডেস্কঃ ৫১ পীঠের একপিঠ দেবী বর্গভীমা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঐতিহাসিক তমলুক শহরে অধিষ্ঠিত। তমলুকের শক্তি পিঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি। মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়ে ছিল এখানে। ১৪৬৬ খ্রিস্টাব্দ মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যে গোকুলে গোমতী নামা তাম্রলিপ্তে বর্গভীমা এবং মার্কন্ডেও পুরানে আছে দেবী বর্গভীমার উল্লেখ। তমলুক শহরে প্রাচীনে বা অতীতে কোন শক্তি পুজো হতো না। শুধুমাত্র দেবীর বর্গভীমার পুজো হতো।

কালের নিয়মে তমলুক শহরে যখন বিভিন্ন শক্তি পুজো শুরু হতে লাগলো, সেই সময় দেবী বর্গভীমা মন্দিরের একটি নিদান দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় কোন শক্তি পুজো হতে গেলে সে ক্লাব প্রতিষ্ঠান হোক বা বাড়ির, প্রথমে দেবী বর্গভীমা মায়ের পুজো দিয়ে তবেই তারা পুজো শুরু করতে পারবে। সেই মতো তমলুক শহরে যত কালীপূজো হয় প্রত্যেক ক্লাব প্রতিষ্ঠান সুসজ্জিত শোভা যাত্রার মাধ্যমে দেবী বর্গভীমা মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে তবেই তাদের কালীপুজো শুরু করে। গত দু বছর করোনার প্রভাবে ক্লাবের সুসজ্জিত শোভাযাত্রা না হলেও দেবী বর্গভীমা মাকে পুজো দিয়ে তবেই তাদের পুজো শুরু করে ছিল।

এ বছর একে বারেই স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবী বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান বা বাড়ির কালী পূজার শুরু হবে। তমলুক শহরের কালীপুজো দেখতে এবং সুসজ্জিত শোভাযাত্রা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান তমলুক শহরে। পাশাপাশি এদিন দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে দেবী মা রাজবেশ পরিধান করেন এবং মাকে দেওয়া হয় রাজভোগ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!