“জ্যোতিপ্রিয়র অনুরোধেই মা এবং স্ত্রী ডিরেক্টর”: মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক

0 0
Read Time:4 Minute, 1 Second

নিউজ ডেস্কঃ রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে একাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। কোটি কোটি টাকার লগ্নি হয়েছে সেইসব সংস্থায়। মন্ত্রীর কথাতেই নিজের মা ও স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল৷ সাংবাদিকদের সামনে এই কথাই বলে ফেলছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস।

তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী রীতিমতো অনুরোধ করেছিলেন তার আপ্ত সহায়ককে। সেজন্যই মা ও স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই কথা কি নিতান্তই সামান্য? অভিজিৎ দাস যে বিস্ফোরক কথা বললেন, তাই নিয়েই সরব ওয়াকিবহাল মহল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রীর সরাসরি সম্পর্ক ছিল?

বেশ কয়েকটি সংস্থার দিকে নজর ইডি আধিকারিকদের। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই এইসব কোম্পানি খোলা হয়েছিল। এমন কথাতেই জোর দিচ্ছেন আধিকারিকরা। তাহলে প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের এই বক্তব্য কি সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে ঘটনাপ্রবাহকে?

২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক ছিলেন এই অভিজিৎ দাস। তার বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। বেশ কয়েক দিন ধরেই সিজিও কমপ্লেক্সে অভিজিৎ দাসকে জেরা করা হয়েছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি কার্যত বোমা ফাটালেন।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাকে অনুরোধ করেছিলেন। মন্ত্রীর অনুরোধ যে একপ্রকার নির্দেশ। সে কথাও বুঝিয়েছেন তিনি। ওই নির্দেশ মানতেই মা ও স্ত্রীকে সংস্থায় ডিরেক্টর করেছিলেন অভিজিৎ দাস। হনুমান রিয়েলকর্ন প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এই দুই সংস্থায় শেয়ারের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল। এমনই দাবি ইডির। এই দুই সংস্থাতেই অভিজিতের মা এবং স্ত্রী ডিরেক্টর ছিলেন।

আপ্ত সহায়কের চাকরি ছাড়ার পরে ডিরেক্টর পদ থেকে মা এবং স্ত্রীকেও সরিয়ে নিয়ে আসেন অভিজিৎ। সেইসময়ও বেগ পেতে হয়েছিল তাদের। কিছুতেই ডিরেক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করা যাবে না। এই মর্মে জোর করা হচ্ছিল। একপ্রকার জোর করেই তারা বেরিয়ে এসেছিলেন।
এইসব কথাই অভিজিৎ দাস ইডির আধিকারিকদের কাছে জানিয়েছেন। নিজেই জানালেন তিনি। এই কয়েকদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখবন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু এদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন।

তার বাড়ি থেকে একটি মেরুণ রঙের ডায়েরি উদ্ধার করেছে ইডির আধিকারিকরা। সেই ডায়েরি সম্পর্কে অভিজিৎ দাস কোনও কথা বলেননি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে তিনি কতটা জানেন? সেই বিষয়েও কোনো কথা জানা যায়নি তার থেকে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!