বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের চমক অব্যাহত
নিউজ ডেস্কঃ একদিনের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপ্লব অব্যাহত। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চমক দিয়েছে পাঠানরা। এমনকি সেমিফাইনালের দৌঁড়েও তাঁরা প্রবলভাবে আছে। এই পরিস্থিতিতে অস্ট্র্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচে নামার আগে আরও বড় সুখবর চলে এল আফগান শিবিরে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন রশিদ খানরা।
সোমবার বাংলাদেশের কাছে শ্রীলঙ্কা হারায় চলতি বিশ্বকাপে প্রথম সাতে থাকা চূড়ান্ত হয়ে গেল আফগানিস্তানের। চলতি একদিনের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট তালিকায় থাকা প্রথম সাতটি দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, সেইসঙ্গে থাকবে আয়োজক পাকিস্তানও। এই আট দলকে নিয়ে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রথমবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল আফগানরা। বিগত কয়েক বছরে এশিয়া ক্রিকেটার উদীয়মান শক্তি হিসাবে আর্বিভাব ঘটেছে পাঠানদের। এবার বিশ্ব মঞ্চেও নিজেদের জাত চেনাচ্ছেন রহমত শাহ-রশিদ খানরা। বিশ্বকাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন তাঁরা। বিশ্বকাপের পর আরও একটি আইসিসির মেগা ইভেন্টের আসর বসবে এশিয়াতেই।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান মাত্র একটা মাত্র ম্যাচ জিতেছিল। তবে এবার একেবারে ভিন্ন মেজাজে আফগানদের দেখা যাচ্ছে। তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী দল ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছে ইব্রাহিম জারদান-মুজিব উর রহমানরা।
প্রাপ্তির দিক থেকে এখনও অবধি আফগানিস্তানের এটাই সফলতম বিশ্বকাপ। এর আগের দুটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মাত্র দুটি জয় এসেছিল। এ বার এক সংস্করণেই তিনটে বড় দলকে ইতিমধ্যেই হারিয়েছে রশিদরা। সেমিফাইনালের স্বপ্নে বুদ আফগানরা।
আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে আফগানরা। ম্যাচের আগেরদিন(সোমবার) সচিন তেন্ডুলকর দেখা করলেন আফগানিস্তান ক্রিকেটারদের সঙ্গে। প্রথমে একসঙ্গে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শ দিলেন। এরপর আলাদাভাবে কথা হলো ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও পেসার নবীন উল হকের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও ম্যাচ বাকি আফগানদের। আফগানিস্তান যদি দুটি ম্যাচের একটিতেও জেতে, তাহলে জমে যাবে শেষ চারের লড়াই। নেট রান রেটের নিরিখে রশিদ খানরা সেমিফাইনালে পৌঁছে চমক দিতেই পারেন। মুম্বইয়ে ভারত-আফগানিস্তান সেমিফাইনাল হলে টিম ইন্ডিয়ার লড়াই অনেক সহজ হবে।
আফগানিস্তান মানেই সন্ত্রাসের কালো ছায়া, বছর ভর লেগে থাকা যুদ্ধ আর মধ্যযুগীর তালিবানি শাসন। সঙ্গে দোসর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেখানে মানুষের বেঁচে থাকাটাই প্রতিদিন কঠিন চ্যালেঞ্জ সেখানে ক্রিকেট তো বিলাসিতা। নূন্যতম নাগরিক পরিষেবা পাওয়াই যে দেশ চাঁদ পাওয়ার সামিল সেখানে ক্রিকেটের পরিকাঠামোই কল্পনার অতীত। অথচ সেই দেশই বিশ্বকাপে বিশ্বকাপে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে।