সুকান্তের মুখে ‘খেলা হবে’!
নিউজ ডেস্কঃ লোকসভা ভোটে কি ডায়মন্ড হারবার নজর কাড়া কেন্দ্র? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী? সেই ইঙ্গিত এখন হাওয়ায় ভাসছে। এদিকে এই বিষয়কে আরও উসকে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপিও বলবে খেলা হবে। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপি লড়াই দেবে। এই কথা জানালেন সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। বিজয়ার পর শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে যাওয়া। একথাই বেরিয়ে বললেন তিনি।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, যদি নওশাদ সিদ্দিকী প্রার্থী হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তাহলে খেলা জমে যাবে। আমরাও বলব, খেলা হবে। বিজেপি লড়াই দেবে। আগেও ভালো হয়েছে ফল ওখানে। এবার জিতবে। যে যেখানে খুশি প্রার্থী হতে পারে। বিজেপি স্পনসর কেন হতে যাবে? তাদের সঙ্গে বিজেপির মতামত সম্পূর্ণ উল্টো।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন অখিল গিরি। এর আগেও রাজ্যের কারামন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চেয়েছিলেন। অখিল গিরিকেও ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। এবার রাজ্যপালকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তার নিম্ন রুচি ও নিম্ন শিক্ষার পরিচয় দিয়েছেন। যারা আস্তাকুঁড়ে ছিল, তৃণমূল তাদের নেতা মন্ত্রী পদে বসিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছেন।
রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার। জ্যোতিপ্রিয়ের বক্তব্য ঘিরে একাধিক চর্চা চলছে। মন্ত্রী কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করলেন? সেই প্রশ্ন দলের অন্দরেই চলছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাপোর্ট আছে। ওনার কথায় দ্বৈত অর্থ থাকতে পারে। উনি হয়তো বলছেন, দিদি জানে। দিদি যা বলেছে, করেছি। নিজে নির্দোষ।
সুকান্ত আরও বলেন, চুরি করেছে৷ তদন্ত হয়েছে, জেলে গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানতেন না! প্রশাসন জানত না! এটা কি করে হতে পারে? অপেক্ষা করুন। বালু, আলু অনেকেই যাবেন জেলে।