কংখালীতলায় সংগীতের মাধ্যমেই চলেছে শক্তির আরাধনা
নিউজ ডেস্কঃ বীরভূম জেলা মানেই সতীপীঠ কেন্দ্র। কংখালীতলা মন্দির তার মধ্যে অন্যতম। বীরভূমের পরিচয় যদি শক্তিদেবীর সাধনভূমি হিসাবে হয়ে থাকে, তাহলে সেই বীরভূমের আরও এক পরিচয় হতেই পারে আউল বাউলের উর্বরভূমি। প্রাচীনকাল থেকে বীরভূমের লাল মাটিতে মিশে আছে আউল বাউলের সহজিয়া সুর। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় যে সুর সাধনা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল তন্ত্র মন্ত্র সাধনার সঙ্গে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় মন্দিরের গর্ভগৃহে যখন তন্ত্র মন্ত্রে পূজিতা হচ্ছেন দেবী। তখন মন্দির চত্বরে চলছে আরও এক সাধনা। এভাবেও যে শক্তির আরাধনা করা যায়, তা দেখালো এখানকার বাউলেরা।
বীরভূম তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর কালী পুজোর দিন এখানে এসে উপস্থিত হন অজস্র। বাউল ও শাক্ত সঙ্গীতকরেরা। বাউলের একতারা আর বাঁশির সহজিয়া সুরে যেন সেই দীপান্বিতারই চলছে সমবেত আরাধনা। কঙ্কালীতলার মন্দির চত্বরে বাউলের একতারা আর বাঁশির কোরাস দ্বীপান্বীতার কাছে যেন সেই আদি অনন্ত কালের আলোর প্রার্থনাই জানিয়ে চলেছে।বাউল সাধক বললেন, “স্থান-কাল-সময় আছে মায়ের সাধনা করার জন্য। আমরা গানের মাধ্যমেই করছি সাধনা।” সংগীতের মধ্য দিয়েই তাঁরা মা শক্তির কাছে পৌঁছে যেতে চান।