দুষণে মুখ ঢাকল কলকাতা -দিল্লি
নিউজ ডেস্কঃ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তাই দিল না শহরবাসী। নির্ধারিত সময়ের পরেও শব্দ দানবের তাণ্ডব বজায় থাকল। শুধু তাই নয়, গভীর রাত পর্যন্ত চলল শব্দবাজির তাণ্ডব। শুধু কলকাতাই নয়, গভীর রাত পর্যন্ত দিল্লিতেও পোড়ানো হল বাজি। সে রাজ্যের ভয়ঙ্কর দূষণ নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবেশবিদদের। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তা কার্যত কানেই তুলল না দিল্লির মানুষ। বরং গভীর রাত পর্যন্ত ফাটল বাজি। যার ফলে নতুন করে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা। এমনকি দূষণের মাত্রা ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও আশঙ্কা।
কলকাতায় বাজি পোড়ানোর জন্যে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রাত ৮টা থেকে ১০ টা অর্থাৎ দু’ঘন্টার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজি ফাটাতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়। যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, ছবিটা কার্যত রবিবার একই ছিল।
এমনকি বহু বহুতলের ছাদ এবং ভিতর দিয়েও বাজি ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। যার ফলে দিল্লির মতো কলকাতাতেও দুষণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা পরিবেশবীদদের। গত কয়েকবছরের মতো এবারও শব্দবাজির তাণ্ডবে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।
এমনকি পুলিশকে বহু জায়গায় দেখানো যায় না বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও লালবাজারের দাবি অভিযোগ পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯ কেজিরও বেশি বাজি নিধিদ্ধ করা হয়েছে। শহরজুড়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এক সংবাদমাধ্যমকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আটটি অভিযোগ সামনে এসেছিল। কলকাতা থেকে আসে মাত্র দুটি এবং ছয়টি আসে জেলা থেকে। প্রত্যেক ঘটনার ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই পর্ষদ কর্তার। পরিবেশবীদরা বলছেন, কালীপুজোর রাতেই এমন অবস্থা, সোমবার দিওয়ালী। ফলে শব্দবাজির তান্ডব আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।