শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভরসা পুরনো নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্কঃ বড়সড় রদবদল পূর্ব মেদিনীপুরের সাংগঠনিক স্তরে। জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সৌমেন মহাপাত্রকে। সেই জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে বসানো হয়েছে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাংগঠনিকভাবে এই রদবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সামনেই লোকসভা ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ জেলা হবে পূর্ব মেদিনীপুর। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি। অধিকারী পরিবার থেকে দুই সাংসদ রয়েছেন। বিজেপিকে এই জেলায় আসন পেতে দেওয়া যাবে না। এটাই চ্যালেঞ্জ উপরতলার তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু কেন এই রদবদল এত গুরুত্বপূর্ণ?
তৃণমূল জেলার দায়িত্ব পুরনো তৃণমূলপন্থীদের দিয়েছেন। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দুই শীর্ষপদে বসানো হল দুজন প্রবীণ তৃণমূল নেতাকে। পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে বসানো হয়েছে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অপরদিকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে তমলুকের প্রবীণ নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতিকে। এবার গুরুত্ব পেলেন পুরনো নেতৃত্ব।
জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। জেলা থেকে সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি করা হল ডক্টর সৌমের মহাপাত্রকে। ওই জায়গায় দীর্ঘ দিন পর দুই প্রবীণ নেতার পদোন্নতি। দুজনেই খুশি। তাদের দাবি, দল দায়িত্ব দিয়েছে, ভবিষ্যতে দলের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর থাকবেন।
কিন্তু কেন পুরনোদের উপর দায়িত্ব দিচ্ছে তৃণমূল? তাহলে কি এবার পুরনোদের উপরেই ভরসা করতে চাইছে শাসক দল? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুরনো তৃণমূলপন্থীরা ভোট করাতেন একসময়। সেই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল পুরনো ক্যারিশ্মাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি এবার এই জেলায় ঝাঁপাবে। তাই পুরনো নেতৃত্বকে মাঠে নামাতে চাইছে শাসক দল? সৌমেন মহাপাত্রকে নিয়ে দলের অন্দরেও অনেক চর্চা শুরু হয়েছিল৷ জেলা নেতৃত্বের মধ্যেও তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে।
সেজন্যই এবার দায়িত্ব থেকে নাম বাদ গেল সৌমেন মহাপাত্রের। পদের মোদ নেই। দল যখন যেমন দায়িত্ব দিয়েছে, তিনি সামলেছেন। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ শুভেন্দুর জেলায় কতটা সফল হতে পারে তৃণমূল? তাই এখন দেখার বিষয়।