এ কি কান্ড হলো ? ভাইফোঁটাতে খুন করা হলো ভাইকে !
নিউজ ডেস্কঃ ভাইফোঁটা যেইটা বাঙালিদের কাছে আর একটি প্রিয় পার্বণ আর সেইদিনই ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। ভাইফোঁটার দিন দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের। নিহত এর নাম মিঠুন সর্দার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারেরই বাসিন্দা তিনি।
ভাইফোঁটার দিন মিঠুন তাঁর দিদির শশুর বাড়ি যান। তার দিদির শশুর বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের সাতঘড়ায়।মিঠুন এর জামাইবাবু জগন্নাথ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর দুই ভাই পরেশ ও অজয়ের একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। যাকে বলে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা। যথারীতি এক্ষেত্রেও তাইই হয়, রোজ ঝামেলা চলতে চলতে ভাইফোঁটার দিন মানে বুধবার তা চরম সীমানায় এসে পৌঁছায়। সকাল থেকেই শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তিও তুমুল আকার নিতে থাকে।
অভিযোগ উঠে এসেছে , যেই জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা সেই দিন সন্ধের সময় সেই জমির বেরা ভাঙার চেষ্টা করছেন জগন্নাথ মণ্ডলের দুই ভাই পরেশ ও অজয়। এই কাণ্ডকারখানা তে ভীতো গ্রস্ত হয়ে পড়েন মিঠুন এর ভাগ্নি এবং তার দিদি। মিঠুনের দিদি এক মুহূর্ত দেরি না করে তার ভাইকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা টা জানায় আর তাতেই ঘটে সেই মর্মান্তিক ঘটনা। এই কথা শুনে মিঠুন দিদির শশুর বাড়ীর দিকে রওনা দেয়। তাঁর সাথে ছিলো আরও এক ভগ্নীপতি । সেখানে যাওয়ার পর পরেশ ও অজয় তার ভাইয়ের মানে জগন্নাথ মণ্ডলের স্ত্রী এর বাপের বাড়ির লোকজনকে টার্গেট করে । এবং এখন থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে যে , তাদের কে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টিপাত করা শুরু করে। আর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চালাতে শুরু করে তারা আর তখনই একটি গুলি মিঠুনের বুকে লাগে এবং গুলিটি বুকের এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়।
এরপর রক্তাক্ত নিথর শরীরটা লুটিয়ে পড়ে মেঝেতে জ্ঞান হারায় মিঠুন , তাকে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার এর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এতো কিছু করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি । দিদি তার ভাইকে যোমের কবল থেকে টেনে আনতে পারেনি , দিদির চোখের সামনেই ঘটলো তার ভাইয়ের মৃত্যু। এই ঘটনার পর থেকে পরেশ ও অজয় কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না , তারা পালিয়ে গেছে । তবে পুলিশ তদন্ত চালাছে।