ঘাত-প্রতিঘাত সামলে কীভাবে সাফল্য পেলেন শামি?

0 0
Read Time:4 Minute, 28 Second

নিউজ ডেস্কঃ তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বুঁদ গোটা দেশ। ১২ বছর পর একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ভারতীয় দলের সামনে। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের দ্রুত সাজঘরে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ মহম্মদ শামির সামনে। বিশ্বকাপের শুরুতে সিরাজ, বুমরাহ, হার্দিকদের দাপটে প্রথম একাদশেই ব্রাত্যই ছিলেন শামি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচের আগে তিনিই ভারতীয় বোলিংয়ের মূল কাণ্ডারী।

শনিবার মোতেরা স্টেডিয়ামে যখন ফাইনালের আগে চূড়ান্ত মহড়ায় ব্যস্ত শামি। তখন কলকাতার সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাসের মাঠে বিজয় হাজারে ট্রফির অনুশীলনে মগ্ন ময়দানের শামি টু। নাম মহম্মদ কাইফ, তবে কলকাতা চেনে তাঁকে মহম্মদ শামির ছোট ভাই হিসেবেই। দাদার পথে তিনিও পথিক। ক্লাব ক্রিকেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার বাংলা দলেও সুযোগ পেয়েছেন। মেগা ফাইনালের আগে দাদাকে অনেক অজানা কথাই ওয়ান ইন্ডিয়ার সঙ্গে শেয়ার করলেন কাইফ।

গোটা দেশ শামিকে নিয়ে গর্বিত। ছোট ভাই কাইফের কথায়, ‘শুধু চলতি বিশ্বকাপেই নয়, এর আগে দুটি বিশ্বকাপে (২০১৫, ২০১৯) দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে শামি। এবারও ভালো খেলছে‌ন, সেইসঙ্গে রেকর্ডও গড়েছেন। শেষ ম্যাচে সাত উইকেটে নিয়েছে। এটা দেখে ছোট ভাই হিসেবে আমিও খুব খুশি।’
একইসঙ্গে কাইফের বক্তব্য, ‘বিশ্বকাপে চার ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া কখনই সহজ কাজ নয়। পাশাপাশি এক ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়াটাও বড় কৃতিত্বে। শামির জন্য আমাদের পরিবারের সবাই খুব খুশি। তবে তার থেকে বেশি খুশি দেশবাসীও।’

ব্যক্তিগত জীবনে ঘাত-প্রতিঘাত বিগত কয়েক বছর ধরেই লেগে আছে শামির জীবনে। তার উপর জাতীয় অনেক সময়ই বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু ক্যামব্যাকের আরও এক নাম শামি। দাদার সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন ভাই কাইফ। তাঁর কথায়, ‘দাদাকে বিশ্রাম নিতে খুবই কম দেখেছি, সব সময় নিজেকে অনুশীলনে মগ্ন রাখে। জাতীয় দল থেকে বাড়ি ফিরেই ফের অনুশীলন শুরু করে দেয়। জিম-অনুশীলনে নিজেকে মগ্ন রাখে। পরিশ্রম করেন অনেক বেশি।’

উত্তর প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম সহাসপুর এখন গোটা দেশের কাছে শামির গ্রাম নামেই পরিচিত। উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শামির গ্রামে একটা ছোট স্টেডিয়াম ও জিম করার কথা ঘোষণা হয়েছে। দাদার সাফল্যে আলোকিত তাঁদের গ্রামও। এই প্রসঙ্গে কাইফ বলেন, ‘এটা আমাদের গ্রাম নয় আশেপাশের গ্রাম গুলিতে যারা ক্রিকেট খেলতে চায় তাদের জন্য সুবিধা হবে।’
ফাইনালে দাদার থেকে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে কাইফ বলেন, ‘ক্রিকেটে বলে কিছু হয় না। একটা ম্যাচে যে কোনও কিছুই হতে পারে। এটুকুই চাইবো, ভালো পারফরম্যান্স করুক এবং দলের জয়ে অবদান রাখুক।’ একইসঙ্গে শামির ভাই বলেন, ক্রিকেট নিয়ে দাদার সঙ্গে সবসময় আলোচনা হয়, দাদা অনেক পরামর্শ দেন আমাকে যাতে আরও ভালো খেলতে পারি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!