উত্তরকাশীতে উদ্ধার কাজ শেষ পর্যায়ে

0 0
Read Time:3 Minute, 49 Second

নিউজ ডেস্কঃ উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলে ৪১ জন শ্রমিকের আটকে পড়ার ১২ তম দিন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংস্থার উদ্ধারের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানে চিকিৎসকদল তৈরি রাখা ছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টার রেডি রাখা হয়েছে।

বুধবার রাতের দিকে অগার মেশিন দিয়ে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে স্টিলের পাইপ বসানো হয়। বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান শেষ হবে বলে আশাবাদী বিভিন্ন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাঁরাই জানাচ্ছেন উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শ্রমিকদের বের করে আনতে পাইপলাইন তৈরি করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষে আটকে থাকা স্টিলের টুকরো কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

দিল্লিতে এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধে ছটা নাগাদ ৪৪ মিটার দীর্ঘ একটি এসকেপ পাইপ সুরঙ্গের ধসে পড়া অংশের ধ্বংসাবশেষে ঢোকানো হয়েছিল। এর আগে উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছিল ১২ দিন আগে নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশে ধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে আমেরিকায় তৈরি অগার মেশিনকে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় ১৩ মিটার ধ্বংসাবশেষ খনন করা বাকি ছিল।

গত শুক্রবার বিকেলে অগার মেশিনটি পাথরে আঘাত করার পরে খনন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ড্রিলিং বন্ধ করার সময় ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তা ২২ মিটার গভীরে প্রবেশ করানো হয়েছিল। এর ভিতরে চারটি ছয় মিটার দীর্ঘ ৯০০ মিমি ব্যাসের পাইপ ঢোকানো হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে ফের খনন শুরু হয়।

পাইপ পুরোপুরি বসানো গেলে, তা দিয়ে শ্রমিকরা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন। আটকে পড়া শ্রমিকরা হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এই পাইপটি এক মিটারের চেয়ে একটু কম চওড়া। মঙ্গলবার সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের নিরাপদ পুনরুদ্ধারের প্রথম ভিডিওটি সামনে আসে। যা তাদের পরিবারের পাশাপাশি উদ্ধারকর্মীদের মনোবল বাড়ায়।

এদিকে বিশেষজ্ঞ-সহ সেখানে ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। ১২ টি অ্যাম্বুল্যান্সও তৈরি রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থনে তৈরি রাখা হয়েছে একটি হেলিকপ্টারও। স্থানীয় চিনিয়ালিসাউরের কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ৪১ টি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়াও এআইআইএমএস ঋষিকেশও সতর্ক রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার চারধাম যাত্রা রুটে নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। আটকা পড়ে যান সেখানে কর্মরত ৪১ জন শ্রমিক। তারপর থেকে তাঁদের উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!