মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি
নিউজ ডেস্ক –
সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর করা নিয়ে গ্লোবাল টেন্ডারে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন শিল্পপতিদের কাছে। তখনই তাজপুরে আদানি গোষ্ঠীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়। এদিন বিজেপি দাবি করেছে, তাজপুরে বন্দর তৈরির প্রস্তাব আদানিরা আগেই নাকচ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২২-এ আদানি গোষ্ঠীকে রাজ্য সরকার তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির টেন্ডার দিয়েছিল। এদিন বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাজপুরের পরিবর্তে মন্দারমনিতে নজর রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। সেখানে আদানি গোষ্ঠী হলদিয়া বন্দরের ধাঁচে স্থলবন্দর তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সেব্যাপারে কাজ বেশ কিছুটা এগিয়েছে বলেও দাবি বিজেপির।
এদিন বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাজপুরে নতুন করে বন্দর তৈরির কথা ঘোষণা করে কি মন্দারমনির প্রকল্পকে আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে মন্দারমনির জন্য জমি অধিগ্রহণ নীতিতেও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, মন্দারমনিতে আদানি গোষ্ঠীর বন্দর তৈরির বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। গত জুন-জুলাই মাসে আদানি গোষ্ঠী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জমি পরিদর্শনও করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, অধিগ্রহণের জন্য জমিও চিহ্নিত করে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে মন্দারমনিত বন্দর তৈরি করা নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাহাজ মন্ত্রকে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই সংক্রান্ত নথিও তুলে ধরেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। মন্দারমনিতে বন্দর তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে রাজ্য সরকার। তবে এব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি সরকার।
বিজেপির প্রশ্ন তাহলে কি জমি অধিগ্রহণ নীতি বদলে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? তা না হলে আদানি গোষ্ঠীর মন্দারমনি প্রকল্প নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? মন্দারমনির জন্য কি আলাদা করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিজেপি।
সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজপুরে ২৫ হাজার কোটির বিনিয়োগের কথা বলেছেন। এব্যাপারে বিজেপির দাবি, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর যে আদৌ লাভজনক হবে না, তা আগেই জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর উপদেষ্টা সংস্থা। আদানি গোষ্ঠীর তরফে যা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে বলে দাবি বিজেপি।