হার্দিককে নিয়ে জোর নাটক
নিউজ ডেস্কঃ আইপিএলে নাটক অব্যাহত। আজ তিন দলের কর্তাদের সৌজন্যে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে গুজরাত টাইটান্স থেকে ছিনিয়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আজ বিকেলে গুজরাত টাইটান্সের তরফে হার্দিককে অধিনায়ক হিসেবে রাখার ঘোষণার পরেও।
হার্দিককে নেওয়ার পথে অন্তরায় হচ্ছিল অর্থ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে পড়ে ছিল ১৫.২৫ কোটি টাকা। হার্দিককে নিতে দিতে হতো ১৫ কোটি টাকা। শেষে ক্যামেরন গ্রিনকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে বিক্রি করেই বাজিমাত রোহিত শর্মার দলের।
হার্দিক আইপিএলে তৃতীয় অধিনায়ক যিনি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে এক দল ছেড়ে অন্য দলে গেলেন। ২০২০ সালে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অজিঙ্ক রাহানের পর। তবে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনও অধিনায়কের এমন দলবদল আগে হয়নি। ২০১৫ সাল থেকে হার্দিক মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন। ২০২২ সালের আইপিএলের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
নতুন দল গুজরাত টাইটান্স হার্দিককে অধিনায়ক বানায়। হার্দিকের অধিনায়কত্বে সেবারই কাপ জেতে টাইটান্স। চলতি বছর ফাইনালে উঠেছিল। তবে আমেদাবাদে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যাওয়ায় খেতাব ধরে রাখতে পারেনি টাইটান্স। আজ বিকেলে তালিকা প্রকাশ অবধি হার্দিককে ধরে রাখলেও আর পারল না তারা।
এখনও সরকারিভাবে কোনও দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ক্রিকবাজ-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ, হার্দিকের ঘর ওয়াপসিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সহযোগিতা করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তারা ১৭.৫০ কোটি টাকার অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে নেওয়ার বিষয়ে মুম্বইয়ের প্রস্তাবে সাড়া দিতেই প্রক্রিয়া মসৃণ হয়ে যায়।
একদিকে যখন রিটেনশন ও রিলিজড ক্রিকেটারদের তালিকা নিয়ে চর্চা চলছে, তখন দিনভর হার্দিক ইস্যুতে চূড়ান্ত পর্বের আলোচনা চলতে থাকে তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে। অবশেষে সব চুক্তিই সম্পাদিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিচ্ছুক ক্রিকেটারদের জোর করে ধরে রাখলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। সে কথা ভেবেই গুজরাত মত বদলে থাকতে পারে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনও মেনে নিয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে তাঁদের দলবদলের থেকেও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ হার্দিকের বিষয়টি। হার্দিককে ফিরিয়ে নেওয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে সোনা জয়ের সামিল বলে উল্লেখ করেন অশ্বিন। হার্দিককে হারানো গুজরাত টাইটান্স দলের ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলবে বলে দাবি অশ্বিনের। সবচেয়ে বড় কথা এখন নতুন অধিনায়কও বাছতে হবে গুজরাতকে।
এ ক্ষেত্রে ক্যাশ-ওনলি ট্রেডই হয়েছে বলে দাবি বিসিসিআই ও আইপিএল সূত্রের। অর্থাৎ ক্রিকেটারদের মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান পর্ব এড়িয়েই হার্দিককে নিল মুম্বই। যদিও রিটেনশন ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পর হার্দিক ও গ্রিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়েছে। তবে ঠিক কত অঙ্কের আর্থিক বিনিময় হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রেডিং উইন্ডো ১২ ডিসেম্বর অবধি খোলা। ফলে আরও কোন চমক অপেক্ষায় রয়েছে সেদিকে তাকিয়ে ক্রিকেট মহল।