দার্জিলিংয়ে মরসুমের প্রথম তুষারপাত!
নিউজ ডেস্ক : অনেক স্কুলেই পরীক্ষা শেষ। শুরু হয়ে গিয়েছে ছুটির মরসুম। অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বেড়াতে। ঠান্ডার মধ্যে আরও ঠান্ডার অনুভব নিতে বহু মানুষের গন্তব্য দার্জিলিং কিংবা উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের নানা জায়গা।
এদিকে এই মরসুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হয়েছে সান্দাকফু এবং টংলুতে। ফলে যাঁরা এই মুহূর্তে দার্জিলিং গিয়েছেন তাঁরা তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্গার দৃশ্য উপভোগ করতে পাচ্ছেন। এই খবরে বড়দিনের জন্য প্রত্যাশা বেড়েছে অনেকের মধ্যে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সান্দাকফুর তুষারতাপ পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাঁরা তা শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী পাঁচদিন দার্জিলিং-এ তুষারপাত হবে। অর্থাৎ আগামী অন্তত ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবহাওয়া কমবেশি একইরকম থাকতে চলেছে সেখানে। এদিন দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৫.২ ও ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুধু পাহাড়েই নয় হিমালয় সংলগ্ন সমতল এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী দিন দুয়েকে আরও ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অফ ট্যুরিজমের শিলিগুড়ি আহ্বায়ক রাজ বসু জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে প্রথম তুষারপাতের খবর পাওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে হোটেল এবং পরিবহণ ব্যবসায়ীরা খোঁজখবর শুরু করেছেন। সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে তিনি বলেছেন এই তুষারপাতের খবর এই অঞ্চলে শীতের মরসুমে পর্যটনের কিকস্টার্ট হিসেবে কাজ করেছে।
তুষারপাতের মধ্যে পর্যটকদের সান্দাকফুতে আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে। অনেক পর্যটকই বলছেন, গত কয়েকবছর ধরে শীতে পাহাড়ে তুষারপাতের কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা এই সময় তুষারপাতের আশা করেননি। এই ভ্রমণ তাঁদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তুষারপাতের সাক্ষী হওয়া পর্যটকরা।
এলাকার হোটেল ও হোম স্টেগুলি প্রায় পূর্ণ। পর্যটন ব্যবসায়ী বলছেন, এই মুহূর্তে হোটেল ও হোম স্টেগুলি ৯০ শতাংশ পূর্ণ হলেও আগামী কয়েকদিনে তা ১০০ শতাংশ পূর্ণ হওয়ার আশা তাঁরা করছেন।