সাসপেন্ড অধীর-সহ ৩৩ সাংসদ!

0 0
Read Time:4 Minute, 14 Second

নিউজ ডেস্ক::সংসদের নিরাপত্তার দাবিতে লোকসভার বিরোধী সদস্যদের আলোচনার দাবি হওয়া হইহট্টগোলের জেরে এদিন বারে বারে লোকসভা অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করতে হয় অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে। হাউসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী হয় ৩৩ বিরোধী সদস্যকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে।

বিরোধী সদস্যদের দাবি প্রসঙ্গে ওম বিড়লা বলেছেন, বিষয়টির রাজনীতিকরণ দুর্ভাগ্যজনক। ১৩ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাটি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অধ্যক্ষ প্রশ্নোত্তর চলাকালীন সদস্যদের বলেছেন, সংসদের নিরাপত্তা লোকসভার সচিবালয়ের আওতাধীন। তবে কিছু বিরোধী সদস্যকে সাসপেন্ড করা ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

এদিন ৩৩ সাংসদের সাসপেনশনের প্রস্তাব সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী পেশ করেন, যা ধনী ভোটে গৃহীত হয়। এর আগে বিরোধী দলগুলির ১৪ জন সাংসদকে একইভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত স্মোক কাণ্ডে ৪৭ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এদিন যাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত আটজন তৃণমূল সাংসদ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। শীতকালীন অধিবেশনের জন্য অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা লোকসভায় ঢুকতে পারবেন না।
সোমবার সাসপেন্ড হওয়া ৩৩ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, ডিএমকের টিআর বালু ও দয়ানিধি মারান ও তৃণমূলের সৌগত রায়। এই সাংসদদের নাম সংসদের বিশেষাধিকার কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানি গিয়েছে। এছাড়াও তিন সাংসদ কে জয়কুমার, বিজয় বসন্ত এবং আবদুল খালেক স্লোগান তুলে স্পিকারের আসনের দিকে এগিয়ে যান। এর জেরে এই তিনজনের নামও বিশেষাধিকার কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

এদিন লোকসভায় বিরোধী সাংসদরা সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবি করেন। এর জেরে ব্যাপক হই হট্টগোল হয়।
এর আগে সব মিলিয়ে যে ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের নয়জন, সিপিএমের দুজন, ডিএমকের দুজন, সিপিআই ও তৃণমূলের একজন করে সাংসদ। ওপরে উল্লিখিত সাংসদরা ছাড়াও বাকিরা হলেন, মানিকম ঠাকুর, কানিমোঝি, পিআর নটরাজন, ভিকে শ্রীকান্তম, বেণী বাহন, কে সুব্রহ্মণ্যম, এআর প্রতিবান, এস ভেঙ্কটেশান এবং মহঃ জাভেদ।

বুধবার লোকসভার দর্শকাসন থেকে দুই যুবক সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি লোকসভার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তানাশাহি নেহি চলেগি, ভারত মাতা কি জয় এবং জয় ভীমের মতো বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সেই সময় সঙ্গে আনা স্মোক ক্যান থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়াও ছেড়ে দেয়। এর ফলে সেই সময় হাউসে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!