বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে মমতার প্রশংসা
নিউজ ডেস্ক::একেবারে বেনজির ঘটনা! খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে চাকরি প্রার্থীরা। পোস্টার হাতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি ২০১৬ সালের এসএলসিটি চাকরিপ্রার্থীরা। এমন অবস্থা দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন ‘সমব্যাথিত’ বিচারপতি। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। আর তা উঠতেই একরাশ প্রশংসা শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) মুখে।
অন্যদিকে চাকরির দাবিতে ধর্মতলায় ১০০০ দিন ধরে যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা ধর্না দিচ্ছেন তাদেরকেও দিলেন বার্তা। স্পষ্ট বললেন, তারা যদি যোগ্য হন কেন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না। এই বিষয়ে কার্যত কিছুটা ক্ষোভ উঠে আসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বক্তব্য।
মঙ্গলবারের পর আজ বুধবারও কলকাতা হাইকোর্টে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বাড়িতেই ছিলেন। (Justice Abhijit Gangopadhyay)। চাকরিপ্রার্থীরা আসার আগেই বিচারপতির বাড়ির বাইরে এসে পৌঁছায় বিধাননগর পুলিশ। কার্যত দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয় বিচারপতির বাড়ি। অবস্থা দেখে নিজেই নিচে নেমে আসেন। কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। বিচারপতিকে (Justice Abhijit Gangopadhyay) চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, নবম দশমের কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে সুপারিশপত্র পেয়েছেন। কিন্ত্যু নিয়োগপত্র মিলছে না। আর তা ১৩ মাস হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চান। এমনকি সুপারিশ করার আবেদনও রাখেন।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, সোমা দাস চাকরি পেয়েছেন। আর তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপারিশেই। তাদের চাকরিটাও যাতে হয় সে বিষয়ে বিচারপতিকে আবেদন জানান। আর তা শুনেই চাকরিপ্রার্থীদের স্পষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা করিনি। সুপারিশ করেছিলাম। চাকরির ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। আর তা মানবিক কারনে। শুধু মাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন বলে জানান বিচারপতি। পালটা চাকরিপ্রার্থীরা তাদের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলার আবেদন করেন। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা বুঝিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্যদিকে ১০০০ দিন ধরে চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, আমিও সমব্যাথিত। চাই সবাই চাকরি পান। কিন্তু বসে থেকে কোনও লাভ হবে না। যোগ্য হলে কেন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ওই মঞ্চ থেকে অনেকেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে চাকরি নিয়ে গিয়েছেন। তাহলে কেন সবাই আসছে না? সবাই যোগ্য তো? এক প্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বার্তা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।