সংসদে স্প্রেকাণ্ডে কর্নাটক যোগ জোরাল হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক::সংসদে স্প্রেকাণ্ডে কর্নাটক যোগ জোরাল হচ্ছে। ঘটনায় গ্রেফতার মনোরঞ্জনের ডায়রির সূত্র ধরে এক প্রাক্তন পুলিশকর্তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আটক করে জেরা করছে পুিলশ। দিল্লি পুলিশের একটি টিম কর্নাটকে রয়েছে। তারাই জেরা করছে বলে জানা গিয়েছে।
কর্নাটকের বাগালকোটের বাসিন্দা সাইকৃষ্ণ। জানা গিয়েছে মনোরঞ্জনের সঙ্গে একই কলেজে পড়ত সে। কর্নাটকের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার ছেেল সাইকৃষ্ণ। মনোরঞ্জন ডি-র ডাইরি খতিয়ে দেখে সাই কৃষ্ণের নাম জানতে পেরেছিল তদন্তকারীরা। তারপরেই কর্নাটকে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি টিম। এবং সেখান থেকে তারা গ্রেফতার করে সাইকৃষ্ণকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সংসদে স্প্রে অ্যাটাকের জন্য যে দুই যুবক প্রবেশ করেছিল তারা মাইসুরুর বিজেপি সংসদের পাস নিয়ে গিয়েছিল। মনোরঞ্জন ডি নিজেও কর্নাটকের বাসিন্দা। তারপর থেকে কর্নাটক যোগ প্রকট হতে শুরু করে। মনোরঞ্জন কীভাবে কার পরিচয়ে মাইসুরুর। সেকারণে মনোরঞ্জনের বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছিল দিল্লি পুলিশ।
মনোরঞ্জনকে েজরা করে একাধিক তথ্য তারা উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে গত ১ বছর ধরে তারা সংসদের ভেতরে প্রবেশ করার পরিকল্পনা করছিল। এই ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সকলেই ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব নামে একটি ফেসবুক পেজের সদস্য। এই হামলার মাস্টার মাইন্ড ললিত ঝাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ললিত ঝা-ই মাথা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় এই নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। ধৃতদের িনয়ে একাধিক জায়গায় যাওয়ার কথা জানিয়েছে দিল্লি পুিলশের িটম। সংসদ হামলার ঘটনায় কলকাতা যোগও পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে গ্রেফতার ললিত ঝা কলকাতাতে থাকতেন পরিবারের সঙ্গে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার ঠিক ৩ দিন আগে তিনি কলকাতা ছাড়েন। কলকাতায় সাম্যবাদী সুভাষ সমাজ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে ললিত ঝা-র সেই সংস্থা কাজ করে বলে জানা হিয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত হলেও ললিত ঝা কোনও কাজ করতেন না। গৃহশিক্ষকতা করতেন। পরিবারের লোকের দাবি কোনও হামলার পরিকল্পনা ছিল না ললিতের। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মাত্র।