অযোধ্যায় মোদী-শো!
নিউজ ডেস্ক::বাইশে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন সকালে অযোধ্যায় পৌঁছচ্ছেন। সেখানে তিনি ১৬ হাজার কোটির প্রকল্প উপহার দেবেন। এছাড়া নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পুনর্নির্মিত রেলস্টেশন ও অন্য প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী দুটি অমৃত ভারত এবং ছটি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। তিনি অযোধ্যায় চারটি নতুন পুনর্নির্মিত-প্রশস্ত রাস্তা রামপথ, ভক্তিপথ, ধরমপথ ও শ্রীরাম জন্মভূমি পথের উদ্বোধন করবেন। তিনি অযোধ্যায় রোড শো ও জনসভায় ভাষণও দেবেন। প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় পৌঁছলে সারা দেশের বিভিন্ন শিল্পদল তাঁকে স্বাগত জানাবে।
বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন, রামথ পর্যন্ত ৪০ টি ধাপে এক হাজারের বেশি লোকশিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। ৫১ টি জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর ওপরে ফুল বর্ষিত হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি একঘন্টা আগেই পৌঁছে যাবেন অযোধ্যায়। সকাল ৮.৩৫-এ দিল্লি থেকে অযোধ্যায়র উদ্দেশ্যে রওনা, ৯.৫০-এ অযোধ্যা বিমান বন্দরে পৌঁছবেন। বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে সকাল সাড়ে দশটায় অযোধ্যা রেল স্টেশনে পৌঁছবেন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে পুনর্নির্মিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন।
সকাল এগারোটা পাঁচে রেলস্টেশন ছাড়বে রোড শো করতে। সেখান থেকে দুপুর ১২.২৫-এ বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখানে ১২.৩০ থেকে ১২.৪৫-এর মধ্যে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১২.৫০-এ বিমানবন্দর ছেড়ে ১২.৫৫-তে মিটিং প্লেসে যাবেন।
দুপুর একটায় সভাস্থল থেকে উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করবেন। এরপর দুপুর দুটো পর্যন্ত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। দুপুর দুটোয় তিনি বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে তাঁর অযোধ্যা সফরের তথ্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, সরকার বিশ্বমানের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সংযোগ উন্নত করতে এবং ভগবান শ্রীরামের শহর অযোধ্যার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। সেখানে তিনি নব নির্মিত বিমানবন্দর ও পুনর্নির্মিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণে রামনগরী অযোধ্যা যেন সেনানিবাসে পরিণত হয়েছে। সবকটি বড় জায়গায় এসপিজি, এনএসজি ও এটিএস মোতায়েন করা হয়েছে। এথাড়া তিনজন ডিআইজি, ১৭ জন এসপি, ৪০ জন এএসপি, ৮২ জন ডিএসপি দায়িত্বে থাকছেন। বিভিন্ন জায়গায় ৯০ জন পুলিশ পরিদর্শকও মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ১৪ কোম্পানি এবং সিআরপিএর ছয় কোম্পানি।