“ইন্ডিয়া জোটকে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খারাপ লাগছে?” : অধীর
নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেসকে ভোট রাজনীতিতে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
কংগ্রেস বসন্তের কোকিল। লোকসভা ভোটে চল্লিশটার বেশি আসন কংগ্রেস পাবে কি? সেই প্রশ্ন গতকাল ছুঁড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই বক্তব্য সামনে রেখে পাল্টা ময়দানে অধীর চৌধুরী।
বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির কথার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “বিজেপির ভাষা আপনার ভাষা এক হয়ে গিয়েছে কেন দিদিভাই? “
অধীর চৌধুরী শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়েছেন। “মোদীর রাজনৈতিক ব্যাকরণ, দিদির রাজনৈতিক ব্যাকরণ এক হয়ে গেল কেন? মোদীর সঙ্গে দিদির কী শর্তে আঁতাত হয়েছে? আমরা জানতে চাই।” এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
বাংলায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শেষ হয়েছে গতকাল। প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় রাহুল গান্ধীকে গতকাল অপেক্ষা করতে হয়েছিল মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে বীরভূম থেকে তিনি ঝাড়খণ্ডে গিয়েছেন। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে। মালদা মুর্শিদাবাদের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাতে সিপিএম নেতৃত্বকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণের সুর চড়িয়েছিলেন।
এবার তারই পাল্টা দিলেন অধীর চৌধুরী। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা এই রাজ্যে সফল হয়েছে। তিনি কোনও ভোটের প্রচারে আসেননি। ভোট সম্পর্কে কোনও কথাও বলেননি। অসংখ্য সাধারণ মানুষ রাহুল গান্ধীকে দেখার জন্য হাজির হয়েছিল। বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে ন্যায় যাত্রায় শামিল হয়েছিল। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। এমনই বক্তব্য অধীর চৌধুরীর।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে জনসংযোগ যাত্রা করেছেন উত্তরবঙ্গ ও কৃষ্ণনগরে। কিন্তু সেই মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দু হাজার লোকও ছিল না। বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে, পুলিশের ভয় দেখিয়ে, প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কথা বলে লোক আনার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাহুল গান্ধীর জনসমর্থনের কাছাকাছি মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেননি। এমনই বক্তব্য শোনা গিয়েছে অধীর চৌধুরীর গলায়।
ইন্ডিয়া জোটের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। এখন কেন ইন্ডিয়া জোটকে খারাপ লাগছে? কেন মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোটের ক্ষতি চাইছেন? সেই প্রশ্ন করেছেন অধীর। বিজেপি বরাবর প্রচার করে, কংগ্রেস মুসলিম সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিজের কাছে রাখতে চায়। সেই একই বক্তব্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেও সামনে আসছে। বিজেপির সঙ্গে সুর মিলে যাচ্ছে কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অধীর।
গান্ধী পরিবারের দয়াতে, রাজীব গান্ধীর স্নেহে কংগ্রেসের নেত্রী মন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে সোনিয়া গান্ধীর দয়াতে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এমন কটাক্ষ অধীর চৌধুরী এদিন করলেন। “রাজ্য পরে, ভাইপো আগে।” এই নীতিই মুখ্যমন্ত্রীর। কটাক্ষ অধীরের।