চেনেন কে রাকেশ চৌরাসিয়া?
নিউজ ডেস্ক ::ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় শিল্পীদের জয়জয়কার। একেরপর এক গ্র্যামি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ভারতীয় শিল্পীরা। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন উস্তাদ জাকির হোসেন রয়েছেন পণ্ডিত শঙ্কর মহাদবন আবার রয়েছেন রাকেশ চৌরাসিয়ার মতো শিল্পী।
বিখ্যাত বাঁশি বাদক রাকেশ চৌরাসিয়া জিতে নিয়েছেন ২টি গ্র্যামি পুরস্কার। শঙ্কর মহাদেবন, উস্তার জাকির হোসেনের নাম শুনলেও রাকেশ চৌরাসিয়ার নাম খুব কমই শুনেছেন তিনি। যদিও একাধিক আন্তর্জাতির পুরস্কারে তাঁর নাম মনোনিত হয়েছিল। গ্র্যামিতে তিনটি ক্যাটাগোরিতে তাঁর নাম মনোনিত হয়েছিল। তাঁর উই স্পিক নামে অ্যালবমটি তিনটি ক্যাটাগোরিতে মনোনিত হয়।
এই অ্যালবমটিতে তিনি কাজ করেছেন তিন জনের সঙ্গে উস্তাদ জাকির হোসেন, বেলা ফ্লেক এবং এডগার মেয়র। তাঁর এই অ্যালবমটি দুটি গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছে। পুরস্কার জয়ের পরে রাকেশ চৌরাশিয়া বলেছেন পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের সঙ্গে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতকে মেলানো সহজ কথা নয়। তার জন্য কঠিন অধ্যাবসায় লাগে। তার জন্য ভীষণ ভাবে রেওয়াজ করতে হয়েছে। তারপরে এই অ্যালবমটি তৈরি করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে এটা তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাকেশ চৌরাসিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের বিখ্যাত বাঁশি বাদক হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার নাম। হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া সম্পর্কে কাকা হন রাকেশ চৌরাসিয়ার। সেই সঙ্গে তাঁর কাছে তালিমও নিয়েছেন তিনি। চৌরাসিয়া পরিবারের খ্যাতি তিিন ধরে রেখেছেন তা বলাই বাহুল্য। ভারতে যাঁরা ধ্রুপদী সঙ্গীেতর চর্চা করেন তাঁরা ছাড়া খুব কম লোকই বাঁশি শুনতে যান। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান করেছেন। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ একাধিক জায়গায় তিনি অনুষ্ঠান করেছেন।
যেকোনও ফিউশনে কাজ করার সময় তাঁর মাথায় সূবসময় থেকেছে ধ্রুপদী সঙ্গীতের কথা। কারণ তিনি জানতেন যে ধ্রুপদী সঙ্গীতই তাঁর একমাত্র ঘরানা। সেকথা মাথায় রেখেই তিনি সবরকম ফিউশন মিউজিকে কাজ করেছেন। গ্র্যামি প্রাপ্তির আগে থেকেই তাঁর ঝুলিতে স্বীকৃতির পুরস্কার আসতে শুরু করেছিল। ২০০৭ সালে সঙ্গীত অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন আদিত্য বিড়লা কলা কীর্তন পুরস্কার। ২০১১ সালে তিনি পেয়েছেন গুরুশিষ্য পুরস্কার। তারপরে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।