সন্দেশখালিতে বন্ধ ইন্টারনেট
নিউজ ডেস্ক ::নতুন করে অশান্তি সন্দেশখালিতে! শুক্রবার রাত থেকেই সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আটটি পঞ্চায়েত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
শনিবার গোটা এলাকা জুড়ে কার্যত অঘোষিত (Sandeshkhali) বনধের চেহারা। আতঙ্কে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। বন্ধ দোকানপাঠ। আর এর মধ্যেই গ্রামে ঢোকার চেষ্ট বিজেপির প্রতিনিধি দলের। যদিও পুলিশের তরফে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। প্রতিবাদী এবং বিরোধীদের আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
এরপরেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছে। বাড়িতে হামলা চলছে। সেখানে আইনের শাসন নেই। অবিলম্বে রাজ্যপালের সন্দেশখালিতে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি বিধায়ক।
এই বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে রাজভবনে নেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে রাজভবনের সিঁড়িতে বসেই এই মুহূর্তে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলছে এই প্রতিবাদ।
অন্যদিকে অশান্ত সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) কিছুক্ষণ আগেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঢুকেছে বলে জানা যাচ্ছে। গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মাইকিং করে মানুষকে জমায়েতের না করার আবেদনও জানানো হচ্ছে।
এমনকি নদী পথেও গোটা এলাকায় পুলিশ টহলদারি চালাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে বেলায় নতুন করে প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা জমায়েত করতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে শুক্রবার রাত জুড়ে গোটা এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছে পুলিশের তরফে। গ্রেফতার করা হয়েছে আটজন গ্রামবাসীকে।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali)বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবুর পোলট্রী ফার্ম এবং বাগান বাড়িতে হামলার ঘটনায় ওই আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি শেখ শাহজাহান-শিবুর অনুগামীরাও রাতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ।
আর তা নিয়ে সরগরম সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ। আর এই ঘটনার বিরুদ্ধে দুপুর ২টোর পর গ্রামবাসীরা সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ-ধর্না শুরু হতে পারে বলে খবর। ফলে সে বিষয়ে সতর্ক স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।