সন্দেশখালির ঘটনায় কাদের মদত?
নিউজ ডেস্ক ::মাস ঘুরতে চললেও খোঁজ নেই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের। রাতারাতি বেপাত্তা শিবু হাজারা। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে তাঁর বাড়ি-পোলট্রি। এমনকি শিবুর বাগান বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই অবস্থায় (Sandeshkhali) কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মার। পুরো পরিস্থিতির উপর পুলিশের কড়া নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
দীর্ঘ প্রায় ৫৩ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও শান্ত নয় পরিস্থিতি। শেখ শাহজাহান সহ তাঁর অনুগামীদের ধরার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। লাঠি-বাঁশ হাতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সামনে অবস্থান করছেন কয়েকশ গ্রামবাসী।
পুলিশের তরফে বারবার শান্ত হওয়ার বার্তা দেওয়া হলেও তা কানে তুলতে নারাজ প্রতিবাদী মহিলারা। পুলিশকে তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, গুলি চললেও এলাকা ছেড়ে কেউ সরে যাবে না। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
তবে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পর্যাপ্ত পুলিশ আছে বলেই দাবি করেছেন এডিজি (আইন শৃঙ্খলা )মনোজ ভার্মা। শুক্রবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে গোটা ঘটনার উপর পুলিশের কড়া নজর রয়েছে বলে জানান মনোজ ভার্মা। তাঁর দাবি, কারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, ঘটনার পিছনে কাদের মদত রয়েছে সব বিষয়টিই চিহ্নিত করতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে তা সম্ভব নয়। সব বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে বলে দাবি ওই পুলিশ কর্তার। আর সেই মতো সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুপুরের পর থেকে সন্দেশখালি, জেলিয়াখানি অনেকটাই শান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন এডিজি (আইন শৃঙ্খলা)।
কিন্তু ছবি অন্য কথা বলছে। দুপুরের পর থেকেই সন্দেশখালিতে বন্দুক হাতে দুস্কৃতীদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। এমনকি গ্রামবাসীদের মারধর করারও অভিযোগ সামনে এসেছে। আর তাতে নতুন করে সন্দেশখালি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বাংলাতে কালিমালিপ্ত করতেই এই ঘটনা বলে পালটা দাবি তৃণমূলের। শাসকদলের এক নেতার কথায়, বকেয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছে। রাজপথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তা থেকে নজর ঘোরাতেই এই ঘটনা বলে দাবি।