“নিরাপদ সর্দারকে ফাঁসানো হয়েছে, তিনি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ছিলেন”: মহম্মদ সেলিম
নিউজ ডেস্ক ::সন্দেশখালি কাণ্ড, নারী নির্যাতন ইস্যুতে এবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামল বঙ্গ বিজেপি। রবিবার সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে থানাগুলিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাওড়া সহ একাধিক জেলায় এই কর্মসূচি করা হয়েছে। বিজেপি মহিলা মোর্চা নেতৃত্ব এই থানায় ঘেরাও কর্মসূচি করে।
উত্তর কলকাতাতে বিজেপির পক্ষ থেকে থানা ঘেরাও কর্মসূচি করা হয়। কলকাতার আমহার্স স্ট্রিট, ডিসি নর্থ, শ্যামপুকুর থানা সহ একাধিক থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চালানো হয়। থানার বাইরে বিজেপি মহিলা মোর্চা ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন। পুলিশ মন্ত্রী ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে আজ রবিবার রাজ্যে পালন করা হয় কালা দিবস। উত্তর কলকাতা বিজেপি পক্ষ থেকে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। কুশপুতুল দাহ করা হয়। উত্তর কলকাতার মানিকতলায় ডিসি অফিস সহ বেশ কয়েকটি থানাতেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
নারী নির্যাতন ও রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, বসিরহাটের সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে বিজেপি। থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিজেপি মহিলা মোর্চা। হাওড়াতেও বিভিন্ন থানার সামনে চলছে বিক্ষোভ। গোলাবাড়ি, ব্যাঁটরা সহ অন্যান্য থানার সামনে এই কর্মসূচি চলছে। গোলাবাড়িতে মিছিল করে এসে থানার সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান মহিলা মোর্চার কর্মীরা। পথ অবরোধ করা হয়।
সন্দেশখালি ইস্যুতে রীতিমতো পথে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। শেখ শাহজাহানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা রয়েছে। যাতে কোনও খবর বাইরে বেরোতে না পারে, সেজন্যই প্রশাসন এই কাজ করছে। এমনই অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
অবিলম্বে ১৪৪ ধারা বাতিল করতে হবে। বিজেপি প্রতিনিধি দল আগামী কাল সন্দেশখালি যাবে। এমন কথা জানানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় রবিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি চালানো হয়।
অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। এদিন এমনই দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম। ভেরি লুঠ, জমি দখল চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে ‘মৎস সাথী’ ঘোষণা করছে। অন্য দিকে ভেড়ি দখল করছে। এমনই কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা।
ন্যাজাটে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে এদিন বাধা দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে এই বাংলার ময়নাগুড়ি, ফালাকাটা,বগটুইতে বাধা দিয়েছিল। যেখানে মুখ-বধির কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। বাধা দেওয়া যাবে না। ওরা ওখানে যাবেই। জোরালো দাবি করলেন মহম্মদ সেলিম।
এসসি, এসসটি কমিশন এতদিন কী করেছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, মহিলা কমিশন কী করেছে? বিজেপির ইস্যু তৈরি করা ছাড়া? ইডি, সিবিআইকে মারার পরও তারা কী করছিল? আসন পেতে কিল খাচ্ছে বিজেপি। কোনও জাতীয় কমিশন কাজ করেনি। কোনও রাজভবন , হোম মিনিস্ট্রি বাংলাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। কেউ কেউ মনে করেছিলেন নবান্নকে শায়েস্তা করবে ৫৬ ইঞ্চি । কটাক্ষ মহম্মদ সেলিমের।