ফ্লোর টেস্টের আগে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন
নিউজ ডেস্ক ::সোমবার বিহারের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে নীতীশ কুমারকে। তার আগে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন। এনডিএ অর্থাৎ বিজেপি ও জেডিইউ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করেছে। অন্যদিকে আরজেডির দাবি, তাদের অপারেশন লন্ঠন অপারেশন লোটাসকে ছাড়িয়ে যাবে।
সোমবার বেলা এগারোটায় বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজ্যপাল বিধানসভা ও বিধান পরিষদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। তারপর বেলা বারোটায় অধ্যক্ষের অপসারণের প্রস্তাব আনা হবে। তারপরে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে নীতীশ কুমারের সরকার।
জেডিইউ তাদের বিধায়কদের পটনার চাণক্য হোটেলে ডেকেছে। হোটেলে রয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। এনডিএ শিবিরের দাবি তাদের পক্ষে ১২৭ জনের বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
অন্যদিকে আরজেডি নেতা মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেছেন, তাদের সব বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তারা পরাজিত হবেন না, ছবিটা কয়েকঘন্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা। বিহারকে বাঁচাতে সব বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেছেন, নীতীশ সরকার ভেন্টিনেশনে রয়েছে। তিনি অল্প সময়ের অতিথি মাত্র। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আরজেডি বিধায়ক হরিশঙ্কর যাদব এবং নীলম দেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি দল। নীলম দেবী বাহুবলী অনন্ত সিংয়ের স্ত্রী।
এদিকে বিহারে ফ্লোর টেস্টের আগে বিজেপি প্রথমে তাদের তিন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে দুই বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরা হলেন ভাগীরথী দেবী এবং রশ্মি ভার্মা। আরেক বিধায়ক মিশ্রিলাল যাদবের সঙঅগে এখনও যোগাযোগ করতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
বিহারের বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন দাবি করেছেন, এনডিএ ফ্লোর টেস্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে। তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দলের বিধায়করা বিহারের বাইরে ছিলেন, কিন্তু বিজেপি বিধায়করা পটনায় ছিলেন।