লোকসভা ভোটে বিশৃঙ্খলা হলে দায়ী থাকবেন ডিজিপি: নির্বাচন কমিশন
নিউজ ডেস্ক ::সন্ত্রাস ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নির্বাচন কমিশনের! এরপরেও কোনও হিংসা হলে দায়ী থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি। কড়া বার্তা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের। গত দুদিনে দফায় দফায় জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এমনকি আজ ইডি, আয়কর দফতর সহ অন্তত ২২ টি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। বৈঠক হয় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। আর সেই বৈঠকেই মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা কমিশনের তরফে (ECI on Lok Sabha Election) দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চের (ECI on Lok Sabha Election) মুখোমুখি হন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপিও। আর সেখানেই সন্ত্রাস নিয়ে কার্যত কমিশন যে একেবারেই কড়া সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এমনকি কমিশনের অনেক নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও এদিন ডিজিপিকে বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আর তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোনও রকম সন্ত্রাস হলে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি দায়ী থাকবেন বলেও এদিন বৈঠকে কমিশন স্পষ্ট করেছে বলে সূত্রের খবর।
এরপরেও অনেক ক্ষেত্রে হিংসার ঘটনা ঘটে। অন্তত অতীত তাই বলছে। বৈঠকে শেষে এদিন এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কমিশনের আধিকারিকদের। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, জেলা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে হিংসার ঘটনা ঘটলে।
যদি কোনও পদক্ষেপ না করে তাহলে ওদের দিয়ে আমরা পদক্ষেপ করাব। সমস্ত জেলার জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অধস্তন যে সমস্ত কর্মীরা রয়েছে তাঁদেরকেও এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়ার কথা হয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে আধার কার্ড ছাড়াও ভোট দেওয়া যাবে বলে এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমার জানান, আধার কার্ড ছাড়াও এমন বহু নথি রয়েছে সেগুলি দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। ফলে এই বিষয়ে চিন্তার কিছু নেই। অন্যদিকে ভোটার স্লিপ অন্তত পাঁচদিন আগে পৌঁছে যাবে বলেও এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। বয়স্করা যাতে বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারেন সেজন্যেও ব্যবস্থা করা থাকছে বলে জানানো হয়েছে।