উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্য বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

0 0
Read Time:3 Minute, 51 Second

নিউজ ডেস্ক ::তিনি কেবল ভোটের সময় আসেন না। তিনি বার বার আসেন। আগামী বার বার আসবেন। উত্তরবঙ্গে গিয়ে এমনই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি প্রকল্পের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে ছিলেন। বুধবার সেখানে প্রশাসনিক সভা করেন। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অনুষ্ঠানও করা হয়।

সেই মঞ্চেই উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্য বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে উত্তরবঙ্গের মানুষ আরও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। সে কথাও জানিয়ে দেন। উদ্বাস্তুদের জন্য পাট্টা বিলি হয়েছে। এখন আর কাউকে উদ্বাস্তু বলা যাবে না। উদ্বাস্তুদের এখন স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। তারা আর উদ্বাস্ত নেই। একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

চা বাগান এলাকার বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হবে আগামী দিনে। বাড়ির টাকাও দেওয়া হবে। সরকারের তরফ থেকে এই কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিষয় নিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য আরও আগামী দিনে কাজ করার চেষ্টা হবে। সে কথা বলেন তিনি।

২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আছে রাজ্যে। তাদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের টাকা তিন বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে। কেন্দ্র পুরো টাকা দেয় না। সেই পুরো টাকা পেলে রাজ্য সরকার আরও উন্নয়নমূলক কাজ করত। এই কথা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাজ্য নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। স্বনির্ভর হতে চায়। এই ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ করে রেখেছে। রাজ্য সরকারের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয় না এখন আর রাজ্য। সরকার শীঘ্রই ৫০ দিনের কাজের প্রকল্প শুরু করবে। কর্মশ্রী প্রকল্পে সাধারণ মানুষ কাজ পাবে। একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এভাবে গ্রহণ করেনি। গেরুয়া শিবিরে তারা ভরসা রেখেছিল। বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাকফুটে ছিল তৃণমূ। তবে এবার আরও বেশি জনসংযোগ চান মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণে রাজ্যের উন্নয়নের বার্তা তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গে।

উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ আলাদা নয়। দুই বঙ্গই সমা। একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি জমিদার নন। তিনি সাধারণ মানুষের পাহারাদার। একথাও দাবি করেছেন তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!