অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কে?

0 0
Read Time:4 Minute, 21 Second

নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশের নজর যেমন বারাণসী কেন্দ্রের দিকে, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা ডায়মন্ড হারবারের দিকে। ২০১৪ সাল থেকে কলকাতার লাগোয়া এই কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ব্যবধান ছিল প্রায় সত্তর হাজারের মতো। কিন্তু ২০১৯-এ তা বৃদ্ধি পেয়ে তিন লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।

একটা সময়ে এই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সংসদ কাঁপাতেন জ্যোতির্ময় বসু, অমল দত্তের মতো সাংসদরা। প্রায় বিয়াল্লিশ বছর এই কেন্দ্রের দখল ২০০৯ সালে সিপিআইএমের হাতছাড়া হয়। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের অধীনে থাকা সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। সেখানে বিজেপি কার্যত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।

এহেন ডায়মন্ড হারবার থেকে বিজেপি এবার কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনজনের নাম বেছে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই নামগুলির মধ্যে রয়েছে সোনালী গুহর নামও। বাম জমানায় সর্বদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবে থাকতেন সোনালী গুহ। সেই সোনালী গুহ প্রয়াত জ্যোতি বসুর নির্বাচনী কেন্দ্র সাতগাছিয়া থেকে জয়ের পরে তাঁকে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। মধ্যে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। তবে বছর খানেক আগে তিনি ফের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেছেন।

এছাড়াও যাঁর নাম নিয়ে বিজেপি আলোচনা করেছে বলে খবর, তিনি হলেন শঙ্কুদেব পন্ডা। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সূত্রের আরও খবর, তাঁর নাম আলোচনায় এলেও, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একটা অংশ এই নামে আগ্রহী নয়।

তৃতীয় যাঁর নাম উঠে আসছে, তিনি হলেন রাজর্ষি লাহিড়ী। এমবিএ পাশ রাজর্ষি বাংলা টেলিভিশনের বিতর্কে পরিচিত মুখ। তাঁকে দেখা যায়, চিৎকার করার পরিবর্তে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলের যুক্তিকে খণ্ডন করার চেষ্টা করতে।

সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিজেপি তিনটি নাম নিয়ে আলোচনা করলেও, তার মধ্যে যদি কিন্তু রয়ে গিয়েছে। যদি ডায়মন্ড হারবার বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি লড়াইয়ে সামিল হন, তাহলে বিজেপি চতুর্থ নাম নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

প্রসঙ্গত ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫৩ শতাংশ। ফলে নৌশাদ সিদ্দিকি সেখানে দাঁড়ালে তিনি সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার মতো জায়গায় যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় দেখা যেতে পারে হিন্দুত্ববাদী কোনও নেতাকে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!