সিএএ নিয়ে সাময়িক স্বস্তি সরকারের
নিউজ ডেস্ক ::রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বিতর্কের সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হল। তবে এই মামলার প্রথম দিনে কিছুটা স্বস্তি কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য। সিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সিএএ-র বিরোধিতা করে একাধিক দল এবং কেরল সরকার মামলা করে শীর্ষ আদালতে। যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়।
সিএএ-র বিরোধিতা করে গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। প্রথম দিনের শুনানিতে স্থগিতাদেশ না দিলেও মামলা সংক্রান্ত বিষয়গুলি কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। এর জন্য তিন সপ্তাহ সময় পাচ্ছে কেন্দ্র। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৮ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ১১ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্র। নতুন এই আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মুসলিম বাদে ধর্ম- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের যে সব মানুষ প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি।এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সিএএ র বিরুদ্ধে প্রথম সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিল কেরল সরকার।কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন তার রাজ্যে এই আইন প্রয়োগ করা হবে না। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালেত এই সব মামলাগুলিকে একত্রিত করা হয়।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
সিএএ নিয়ে মোট ২০টি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, সেগুলিকে একত্রিত করা হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি শুনানিতে জানান ‘সিএএ আইনের জন্য কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।! তবে এই প্রশ্ন গুলি উঠেছে সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জবাব দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পান শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে কেন্দ্রকে।আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
অন্যদিকে, আবেদনকারীদের ২ এপ্রিলের মধ্যে ৫ পাতার সংক্ষিপ্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে মামলাটি লড়েন কপিল সিব্বল। তিনিি বলেন, সিএএ চার বছর পর অবহিত করা হয়েছে, ২০২০ সালে আইনটি পাস হয়। এখন যদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তা ফেরানো যাবে না। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একবার নাগরিকত্ব দেওয়া হলে আপনি তা ফেরত নিতে পারবেন না।”