নেতাজি নগরে যুবকের আত্মহত্যায় চরমে উত্তেজনা
নিউজ ডেস্ক ::নেতাজিনগরে যুবকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পরিবারের অভিযোগ সিএএ আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। মৃতের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত। নেতাজিনগরে তাঁর মামাবাড়িতেই দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেছিলেন সিএএ লাগু হয়ে যাওয়ার পরেই নাগরিকত্ব যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন।
বাবা-মায়ের কোনও নথি ছিল না তাঁর কাছে এমনই দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন দেবাশিসের মা-বাবা শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন। সেকারণে তাঁর কাছে সেরকম কোনও পরিচয় পত্র ছিল না। নাগরিকত্ব চলে যাবে এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের কাছে নাকি এই আশঙ্কার কথা প্রকাশও করেছিলেন তিনি।
যদিও দেবাশিস নিজে কিন্তু কলকাতাতেই জন্মেছিলেন। হাজরায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে জন্মেছিলেন তিনি। সেখানকার জন্মের শংসাপত্র ছিল তাঁর। তারপরেও নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। কারণ তাঁর বাবার কোনও পরিচয়পত্র ছিল না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই গোটা দেশে সিএএ লাগু করেছে মোদী সরকার। তাতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিশ্চান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের মধ্যে যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁদের কেবল নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে এই আইনে। যদিও ভোটের আগে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে গোটা দেশেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিরোধীরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ লাগু করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মোদী সরকারকে। কারোর নাগরিকত্ব গেলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন সিএএ-তে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। সেটা ঘটলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে নেতাজি নগরের এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে সিসিএ কাণ্ডে এই আত্মহত্যার ঘটনায় যে রাজনৈতিক রং লাগবে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এই ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন।