কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী কার্যালয়ে তল্লাশি সিবিআই’য়ের
নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা ভোটের আবহে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের একাধিক ঠিকানাতে হানা দিল সিবিআই। শনিবার সকালে আলিপুর জাজেস কোর্ট রোডে রত্নাবলি অ্যাপার্টমেন্ট নামে একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান সিবিআই’য়ের বিশেষ দল।
যেটি কিনা মহুয়া মৈত্রে’র বাবা ডিএল মৈত্রের বলে জানা যায়। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরেই কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) নির্বাচনী কার্যালয়েও সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আর এই অভিযান ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। ভোটের মুখে প্রতিহিংসা বলে আক্রমণ শানিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। পালটা তোপ বিজেপিরও। বলে রাখা প্রয়োজন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার ফের মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম ঘোষণার পরেই ময়দানে নেমে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যেই ফ্ল্যাটের পর মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী কার্যালয়ে পৌঁছে গেলেন সিবিআইয়ের একটি টিম।
যা খবর, তৃণমূল নেত্রীর খোঁজেই এদিন ওই কার্যালয়ে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরে আরও একটি বাড়িতেও তদন্তকারীরা গিয়েছেন বলেও খবর। যদিও কোনও জায়গাতেই এদিন মহুয়ার খোঁজ সিবিআই আধিকারিকরা পাননি বলেই খবর। কিন্তু কোথায় তিনি?
আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। মহুয়া মৈত্র বিজেপির একের পর এক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল। আর এরপরেই তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার। শুধু তাই নয়, এবার কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূল মহুয়াকে প্রার্থী করেছে। বিপুল ভোটে সেখান থেকে ফের একবারজয় পাবে বলেও এদিন মন্তব্য কুণালের।
যদিও বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, সবাই সব দেখতে পাচ্ছে। মহুয়া মৈত্রের কাজে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই অবস্থায় সিবিআই’য়ের এই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভোটের মুখে কেন এমন অভিযান তা তদন্তকারী সংস্থা বলতে পারবে বলে দাবি বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, জেতার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিজেপি ব্যবহার করে না বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ।
বলে রাখা প্রয়োজন, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। আর তা নিয়ে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত।