গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়া নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
নিউজ ডেস্ক ::গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ের পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অদ্ভুত যুক্তি খাঁড়া করতে চেয়েছেন মেয়র তথা স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে আড়াল করার অভিযোগ বারে বারে উঠেছে। এবার মেয়রের নির্দেশে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, তদন্ত কমিটিতে থাকছেন সাত সদস্য। তাঁরা বহুতল বিপর্যয় নিয়ে আটটি প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবেন। তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে সাত দিনে মধ্যে। পুর কমিশনার ধবল জৈনের তৈরি করা এই কমিটির মাথায় থাকছেন কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতি। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের প্রতিনিধি, জঞ্জাল সাফাই, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিক, কলকাতা পুলিশ, বিএলআরও এবং পুরসভার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল।
পুরসভার এই কমিটির সদস্যরা গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিপর্যয়স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। পাশাপাশি তারা শেষ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবেন। ২২ মার্চ এই কমিটি গঠন করা হয়েছে. অর্থাৎ ২৯ মার্চের মধ্যে এর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কমিটির সদস্যরা যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবেন তার মধ্যে রয়েছে।
জমির মালিকানা কার ও কী ধরনের জমি? জমির চরিত্রগত কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা?
যে বহুতল ভেঙে পড়েছে, তার প্ল্যান বৈধ ছিল কিনা অর্থাৎ অনুমোদন ছিল কিনা? অনুমোদন থাকলে কে বা কারা দিয়েছেনয বহুতল তৈরির আগে মাটি পরীক্ষা করার যে রিপোর্ট দিতে হয়, সেই রিপোর্ট আছে কিনা? অগ্নি নির্বাপণ দফতরের কোনও অনুমতি ছিল কিনা? সিইএসসির বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কোনও আবেদন করা হয়েছিল কিনা?
বহুতল ভেঙে পড়ার কারণ কী?
কী ধরণের মশলা ব্যবহার করা হয়েছিল?
বহুতল ভেঙে পড়ায় জীবন ও সম্পত্তির কতটা ক্ষতি হয়েছে?
বহুতল তৈরিতে সরকারি আধিকারিকদের উদাসীন থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা কতটা?
ওই বহুতল তৈরির আগেই কি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, নাকি তৈরির সময় তা বিক্রি করা হয়?
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে এইসব প্রশ্নের বাইরে অন্য কিছু উঠে আসলে তাও জানাতে হবে অনুসন্ধান কমিটিকে।
প্রসঙ্গত গত সোমবার গভীর রাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। ঘটনার পরের সকালে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র তথ এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দায় ঠেলেছিলেন প্রশাসনের ওপরে। দোষারোপ করেছিলে বারো বছর আগে রাজ্য শাসন থেকে সরে যাওয়া বামেদের।