কেন বাংলায় হচ্ছে টর্নেডো!
নিউজ ডেস্ক ::চৈত্রে সাধারণত কালবৈশাখীর দাপট দেখা যায় বাংলায়। কিন্তু হঠাৎ করে টর্নেডো কীভাবে হাজির হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও জলপাইগুড়িতে এই প্রথম নয় গত কয়েক বছরে বাংলায় একাধিকবার একাধিক জায়গায় টর্নেডো দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ এই আবহাওয়ার বৈপরিত্য নিয়ে বেশ উদ্বেগে পরিবেশবিদরা।
টর্নেডো কিন্তু এশিয়ার কোথাও তেমন দেখা যায় না। বিশেষ করে ভারতে তো নয়ই। কিন্তু আয়লা, ফনী সহ একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা বারবার বাংলা উপকূলে এসে পড়ছে সেই সময় টর্নেডোর মতো ঝড়ের দেখা মিলেছে। যা একেবারেই স্বাভাবিক নিয়মের নয় বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
কয়েক মিনিট এই ঝড়ের স্থায়িত্ব। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই এমন বিধ্বংসী রূপ দেখায় এই টর্নেডো যে গোটা এলাকা তছনচ হয়ে যায়। এতোটাই শক্তিশালী হয় সেই ঘূর্ণিঝড়। ফানেলের মতো তৈরি হয় ঝড়টি। আর তার সবচেয়ে শক্তি থাকে একেবারে ফানেলের শেষ বিন্দুতে। কাজেই খুব কম জায়গা নিয়ে এই ঝড়টি ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে চলে। যেখান দিয়ে এগোয় তার সর্বস্ব উড়িয়ে নিয়ে যায়।
বড় বড় গাছ থেকে বাড়িঘর পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। জলপাইগুড়ির এই টর্নেটো আবার মনে করিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় হুগলিতে যে টর্নেডো তৈরি হয়েছিল তার কথা। বারবার বাংলা এই টর্নোডোর দাপট বাড়তে শুরু করার নেপথ্যে কিছু বিশেষ কারণ থেকে থাকতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিদরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন জয়বায়ু পরিবর্তনের কারণে যে আবহাওয়ার বদল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার হেরফের তৈরি হয়েছে তার জন্যই এই পরিস্থিতি।
এই চৈত্র মাসে রাজ্যে কালবৈশাখীর দাপট দেখা যায়। কোথাও কোথাও চৈত্রের ঝড়ও হয়। বঙ্গোপসাগরের গরম বাতাসের সঙ্গে হিমালয় থেকে আসা শীতল বাতাসের মিলনে যে বৈপরিত্যের তৈরি হয় তার জন্যই এই সময় কালবৈশাখী দেখা যায়। উচ্চচাপের এলাকার বায়ু নিম্নচাপের এলাকার দিকে ধেয়ে যাওয়ার কারণেই এই কালবৈশাখীর জন্ম।
কিন্তু টর্নেডো তারির নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। হঠাৎ করে কোথাও নিম্নচাপ তৈরি হলে সেখানকার উষ্ণ বাতাস দ্রুত উপরের দিকে উঠে যায়। সেই ফাঁকা জায়গায় আবার শীতল বাতাস এসে ঢুকে পড়ে তার জেরেই টর্নেডোর তৈরি হয়। এই ঝড় সাধারণ স্থলভাগেই তৈরি হয়। সেকারণে খুব কম সময় স্থায়ী হয় আর তার গতিবেগ প্রবল থাকে। কালবৈশাখীর চেয়েও শক্তি এর বেশি হয়। যে পথ দিয়ে এই ঝড় এগিয়ে যায় সেই পথের সব কিছু তছনচ করে দেয়।