ফের অধীরের নিশানায় মমতা
নিউজ ডেস্ক ::নির্বাচনের মুখে ফের একবার বাংলায় দুর্নীতি নিয়ে সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিনও তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। বহরমপুরে করা সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত দু’জনকেই আলাদা আলাদা দুটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি।
ঝাড়খণ্ড কিংবা দিল্লির মামলাকে বাংলার থেকে আলাদা করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু অন্য জায়গায় তা হচ্ছে না। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পদক্ষেপ নিয়ে তিনি প্রশ্নের জবাবে এইভাবেই আলাদা করেছেন বাংলার মামলাগুলিকে।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, বাংলায় আদালতের নির্দেশে দুর্নীতির মামলাগুলি চলেছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কিংবা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেলবন্দি হওয়ার সঙ্গে তুলনা না করলেও ভাল হয়। তিনি আরও বলেছেন, হেমন্ত সোরেন ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল কী করেছেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর খোকাবাবু কী করেছেন, তা সবাই জানেন।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে বাংলায় যেসব দুর্নীতির তদন্ত আদালতের নির্দেশে ইডি কিংবা সিবিআই-এর হাতে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক-সহ অন্য নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত, রেশন দুর্নীতি তদন্ত এবং সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাহিনীর জমি দখলের তদন্ত।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ইন্ডিয়া ব্লক যেসব রাজ্যে সম্মিলিত প্রার্থী দিতে পারেনি, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। তৃণমূলের তরফে জোট ভাঙার জন্য অধীর চৌধুরীকে দায়ী করা হয়েছে, কারণ তিনি শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে দায়ী করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানুয়ারিতে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোন জোট করছেন না। এব্যাপারে দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, বাংলায় অধীর চৌধুরী বিজেপির ভাষায় কথা বলেন। বাংলায় জোট না হওয়ার জন্য তিনি অধীর চৌধুরীকেই দায়ী করেছিলেন।