বিতর্কে খগেন মুর্মু
নিউজ ডেস্ক ::মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে এবারও ওই আসনেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে নিয়েই তুঙ্গে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ছবি।
সেই ছবিগুলি শেয়ার করে খগেনকে বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা তৃণমূলের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাফাই বিজেপির বিদায়ী সাংসদের।
তৃণমূল কংগ্রেস আজ খগেন মুর্মুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে। এক্স হ্যান্ডলে খগেনের ছবিগুলি শেয়ার করে লেখা হয়েছে বিজেপির সাংসদ মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থা করেন, বাঙালি নারীদের প্রতি অসম্মানজনক গান বানান বিজেপি নেতারা, ফলে বোঝাই যায় বিজেপি শিবির কতটা নারীবিদ্বেষী।
এভাবেই মোদী কা পরিবার নারীদের সম্মান করছে বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে কী করবে তা এই ছবিগুলি দেখেই কল্পনা করুন। এখানেই না থেমে তৃণমূল একাধিক বিজেপি নেতা ও সাংসদকে বিঁধেছে।
তৃণমূলের মিডিয়া সেল থেকে দাবি করা হয়েছে, ব্রিজভূষণ সিং মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থা করেন। মণিপুরে নারীদের উলঙ্গ করে হাঁটানো হয়, অমিত মালব্য ধর্ষকদের প্রাধান্য দেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মহিলাকে সাংসদকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন। খগেন মুর্মু মহিলাকে চুমু খান, দৃষ্টিকটুভাবে নারীদের শরীর স্পর্শ করেন।
জানা গিয়েছে, চাঁচলের সিহিপুর গ্রামের ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া এখন সরগরম। খগেন নিজে ছবির সত্যতা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, তৃণমূলের এমন সংস্কৃতি রয়েছে বলেই তারা এই বিষয়টি নিয়ে পড়েছে। এ বিষয়কে গুরুত্ব দেননি খগেন মুর্মু।
বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ছোটদের আদর করা অন্যায় কিছু নয়। নারীদের তাঁরা মায়ের চোখেই দেখেন, সম্মান করেন। তিনি জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার জানান, একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সেখানে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে বিদায়ী সাংসদ এক যুবতীকে চুমু খাচ্ছেন। বাংলার সংস্কৃতিতে এটি নিন্দনীয় ঘটনা। ভোট ভিক্ষা করার সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটালে ভোটে জিতলে তাঁর মানসিকতা কেমন হবে তা জনগণ বিচার করবেন। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এমন দৃশ্য আকছার দেখা যায়, তা এখানে আমদানি করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে যে যুবতীকে খগেন মুর্মু চুমু খেয়েছেন তাঁর দাবি, যে ঘটনাটি নিয়ে এত কথা হচ্ছে যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল করেছেন তাঁদের মানসিকতা নোংরা। তাঁর বাবা-মায়ের সামনেই বিদায়ী সাংসদ স্নেহচুম্বন করেছেন, যা অন্যায় নয় বলে দাবি যুবতীর।