অজয় দেবগণের ‘ময়দান’-এ মুগ্ধ দর্শকরা

0 0
Read Time:2 Minute, 59 Second

নিউজ ডেস্ক ::ফুটবল মানেই বাঙালি আর বাঙালি মানেই ফুটবল। এটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেকারণে অজয় দেবগণের ময়দান নিয়ে প্রথম থেকেই বেশ কৌতুহল ছিল। সেটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ছুটেছিলেন সিনেমা হলে।

অজয় দেবগণ হতাশ করেননি কাউকে। উল্টে আরও বেশি করে পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। ইদ স্পেশাল রিলিজ ময়দান। ঐতিহাসিক ফুটবল কোচ সইদ আবদুল রহিমের জীবনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই ছবিটি। বলা চলে পরিচালক ভারতীয় ফুটবল টিম এবং তার কোচকে একটি ট্রিবিউট দিতে চেয়েছেন এই ছবিটির মাধ্যমে।

১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল টিমকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এসএ রহিম। তাঁর জীবনের নানা উত্থান পতন। ফুটবল ফেডারেশনের রাজনীতি সব কিছুই তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। দর্শকরা প্রথম দেখাতেই বেশ মুগ্ধ। প্রথম হাফটি খুব একটা টানটান না থাকলেও বেশ কিছু ট্যুইস্ট অ্যান্ড টার্নস রয়েছে। কিন্তু সেকেন্ড হাফ থেকে একেবারে ময়দান -র খেলা জমে উঠেছিল। টানটান দ্বিতীয় ভাগটি।

অজয় দেবগণেরক এই ছবিটি বারবার মনে করিয়ে দেবে শাহরুখ খানের চক দে ইন্ডিয়ার কথা। অনেকদিন পর একটি ভাল স্পোর্টস মুভি দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। ছবিতে অজয় দেবগণ ছাড়াও রয়েছেন প্রিয়মণি, বোমান ইরানি, খেথি সুরেশ। ইতিমধ্যেই ৫-এর মধ্যে তিন রেটিং পেয়ে গিয়েছে ছবিটি।
ক্রিকেট অবসেস্ট ভারতীয়দের কাছে ময়দান যে পছন্দ হতে শুরু করেছে সেটা এই ছবিটা না দেখলে বোঝা যাবে না। ১৯৮৩ সালে ভারত ফুটবলে যে প্রোডেনশিয়াল কাপ জিতেছিল সেই কাহিনী এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলে এসএ রহিমকে অন্যতম বড় কোচ হিসেবে মনে করা হয়।

১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দল খেলেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে। সেই রোমর্ষক ম্যাচের টানটান উত্তেজনা রয়েছে এই ছবিতে। তবে ছবিটি একটু দীর্ঘ। প্রায় ৩ ঘণ্টার ছবি। তাতে অনেকেই বিরক্ত হতে পারেন। কিন্তু মোটের উপর দর্শকদের ভারী পছন্দ হতে শুরু করেছে ছবিটি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!