প্রথম ঝলকেই মন জয় করেছে হিরামান্ডি
নিউজ ডেস্ক ::বলিউডের পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালির স্বপ্নের প্রোজেক্ট হিরামান্ডি। ওটিটিতে এই হিরামান্ডি ওয়েব সিরিজ দিয়েই ডেবিউ করবেন পরিচালক। একেবারে মুঘল জমানার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে এই হিরামান্ডি ওয়েব সিরিজে। তার সঙ্গে রয়েছে স্বাধীতা আন্দোলনের ছোঁয়াও।
ইতিমধ্যেই হিরামান্ডির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। সোনাক্ষী সিনহা, মণীশা কৈরালা, রিচা চড্ডা, সঞ্জিদা শেখ, অদিতি রাও হায়দারি সহ একাধিক অভিনেত্রী রয়েছেন এই ওয়েব সিরিজে। সেই সঙ্গে রয়েছেন ফরদিন খান, অধ্যয়ন সুমন, শেখর সুমনের মতো অভিনেকতারাও। প্রায় ১৪ বছর পর এই ওয়েব সিরিজে বলিউডে কামব্যাক করছেন ফরদিন খান। তাঁর লুকও প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই হিরামান্ডির সকল বালা গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হিরামান্ডির সেট থেকে শুরু করে অভিনেত্রীদের পোশাক সবটার মধ্যেই একটু মুঘল ঘরানার ছোঁয়া রয়েছে। শোনা গিয়েছে এই ওয়েব সিরিজের জন্য ৩০০টি আনারকলি পোশাক ডিজাইন করা হয়েছিল। এবং সেগুলি তৈরি হয়েছে ২ বছর ধরে। আর তার জন্য কতো টাকা খরচ হয়েছে শুনলে চমকে উঠবেন। সেগুলি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা।
এবং এই আনারকলি পোশাকগুলি তৈরি করেছে রিম্পা এবং হরপ্রীত। এরা পদ্মাবত সিনেমার জন্যও কস্টিউম ডিজাইন করেছিলেন। তাঁদের তৈরি আনারকলি পোশাকের খরচ হয়েছে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা। এবং লেহেঙ্গা তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ থেকে ৮ কোটি টাকা। শাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালর বাসিন্দা ডিজাইনার হরপ্রীত। সেখানে তাঁদের দিদা ঠাকুমাদের কাছ থেকে সেসময়কার পোশাকের গল্প শুনে সেই থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে এই পোশাকটি তৈরি করেছিলেন তিনি।
১ মে মুক্তি পেতে চলেছে হিরামান্ডি। নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে এটি। পাকিস্তানের লাহোরের নিষিদ্ধ পল্লির নাম হিরামান্ডি। যার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে। ব্রিটিশ জমানার আগে হিরামান্ডির জনপ্রিয়তা ছিল মুঘল আদবকায়দার জন্য। এখানে আফগানিস্তান থেকে সুন্দরিদের নিয়ে আসা হতো। তাঁদের নাচ-গান-আদব-কায়দায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। নবাব পুত্তপররা এই হিরামান্ডিতে আসতেন বাদশাহী আদব শিখতে। কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর এই হিরামান্ডি ধীরে ধীরে যৌনপল্লিতে পরিণত হয়। এখনও তার অস্তিত্ব রয়েছে।