জিহাদের ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত

0 0
Read Time:2 Minute, 48 Second

নিউজ ডেস্ক ::বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। খুনে অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে বিচারক ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতার উপকন্ঠে নিউটাউনে এক আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদকে গলা টিপে খুন করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল তার দেহ। দেহের টুকরো অংশ প্লাস্টিকে মুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ভাঙড়ের এক জায়গায় দেহাংশ ফেলা হয়েছে। একথাও সিআইডি তদন্তকারীরা জানতে পারেন।

গতকাল ২৩ মে সিআইডি এই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তি কসাই বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে মুম্বইতে বসবাস। কিন্তু গত দুই মাস ধরে কলকাতাতেই সে থাকছিল। এই খুনের কারণেই কি তাকে কলকাতা এনে রাখা হয়েছিল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গতকাল রাতে বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ব্যক্তিকে। আজ ধৃতকে তোলা হয় আদালতে৷ তাকে দেখার জন্য অনেকেই অপেক্ষা করেছিল। তার মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে। গাড়ি থেকে নেমে তদন্তকারীদের সঙ্গে আদালতের ভিতর যায় সে। চলাফেরায় তেমন কোনও বদল ছিল না। এত নৃশংস খুন করার পরেও ভাবলেশহীন কোনও ব্যক্তি থাকতে পারে? তাই দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।

এই ব্যক্তিকে জেরা করে খুনের বড় তথ্য পাওয়া যাবে। এই কথা মনে করছেন তদন্তকারীরা। আক্তারুজ্জামান বলে এক ব্যক্তির খোঁজ করা হচ্ছে। সে এই কসাইকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে এই কথা জানা গিয়েছে।

গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ভাঙড়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। রাতেই দেহাংশ খোঁজার জন্য তল্লাশি হয়। কিন্তু গতকাল সাংসদের দেহের কোনও অংশ সেখানে পাওয়া যায়নি। এই কথা জানা গিয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!