“বাংলার DG হলেন দিদির D’O’G!”: অধীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক::রাজ্য পুলিশের ডিজি তিনি নন, তিনি হলেন দিদির D’O’G। ফোন ও এসএমএস করে সাড়া না পাওয়ায় এই ভাষাতেই নাম না করে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
প্রসঙ্গত রবিবার তিনি নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের দেখতে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার জন্য অফিসের দিকে যান। কিন্তু তাঁকে অন্য পুলিশ আধিকারিকরা বলেন ছুটির দিনে ম্যাডাম ছুটিতে আছেন। তবে পুলিশ সুপারের অফিসের অনেক আগে ব্যারিকেড করে আটকানো হয় অধীর চৌধুরীকে।
সেই সময় অধীর চৌধুরী রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ফোন করেন নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় কংগ্রেস কর্মীদের ওপরে হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে। অভিযোগ সেই সময় ডিজিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি কিংবা এসএমএসের জবাব দেননি।
এদিন বহরমপুরে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তীব্র আক্রমণ করেন। অধীর চৌধুরী বলেন, তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি নন। ডি ও জির মধ্যে ও বসিয়ে দিদির ডগ।
চোপড়ার ঘটনা নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল দল শুধুমাত্র দুর্নীতিকে আশ্রয় করে, পুলিশের মদতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব দিনের পর দিন বাড়বে আর প্রকট হবে। এটা স্বাভাবিক নিয়ম। তাই চোপড়ার ঘটনা তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্বে খদ কতটা গভীর তা প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, নাকাশিপাড়া ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে শুধুমাত্র কংগ্রেস মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছে, এটা তাদের কাছে অপরাধ। সেই অপরাধে ছোট্ট গ্রামে রাত সাড়ে বারোটার সময় তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী হামলা করে। পুলিশ সেখানে নিশ্চুপ থেকেছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আজকে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে দুজনে মাইনরিটি সম্প্রদায়ের থেকে সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস সিদ্দিকা বেগমকে সভাধিপতি করেছিল। মুসলিমদের যোগ্যতা নেই এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। মুসলিমদেরকে সভাধিপতি করে দয়া করল এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। মুর্শিদাবাদ জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। তবে এটা নিয়ে কংগ্রেস হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, কংগ্রেস দেখবে, এই জেলা পরিষদ সাধারণ মানুষের পাওনা ও তাদের অধিকার সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে কিনা। তিনি বলেন, কংগ্রেস চায় উন্নয়ন হোক। হিন্দু তৃণমূল এবং মুসলিম তৃণমূল করে মারামারি করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।