CAA নিয়ে পাল্টি খেলেন শান্তনু ঠাকুর
নিউজ ডেস্ক ::সিএএ নিেয় হুঙ্কার দিয়ে হঠাৎ করে ঢোক গিললেন বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় জায়াজ প্রতিমন্ত্রী এবার বলেছেন, ‘সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু নিয়ে মুখ ফস্কে কথা বলে ফেলেছিলাম, আসলে সাত দিনের মধ্যে প্রসেসিং শুরু হয়ে যাবে সিএএ-র।’
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই ফের সিএএ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতারা ফের সিএএ লাগু করা নিয়ে হুঙ্কার দিতে শুরু করেছেন। গত রবিবার মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা এবং বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হয়ে যাবে বাংলায়।
ঠিক তার সাতদিন কাটতে না কাটতেই নিজের সিএএ মন্তব্য নিয়ে পাল্টি খেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সিএএ লাগু নয় সিএএ নিয়ে প্রসেসিংটা শুরু হয়ে যাবে। আসলে ওটা মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলাম। তবে সিএএ যে চালু হবে বাংলায় তা নিয়ে িনশ্চিত তিিন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট পেতে গত লোকসভা ভোট থেকেই সিএএ বাংলায় লাগু করা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে গিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতারা।
এমনকী অমিত শাহ পর্যন্ত বাংলায় সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন লাগু করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও গোটা দেশে নাগরিকত্ব আইন লাগু করতে পারেনি মোদী সরকার। বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখতে সিএএ লাগু করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা। অমিত শাহ রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন বাংলায় সিএএ লাগু হবেই।
সেই সুরে সুর মিলিয়েই গত রবিবার বিজেপি সাংসদ এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর বাংলায় সিএএ লাগু নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন। তারপরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তার সাত দিনের মধ্যেই আবার তিনি ঢোক গিললেন। তিনি নিজেই নিজের মন্তব্য সংশোধন করে বলেছেন আমি বলেছিলাম লাগু করা হবে। কিন্তু গতকাল তিনি বলেছেন লাগু হবে না প্রসেসিং শুরু হয়ে যাবে।
শান্তনু ঠাকুরের এই সিএএ মন্তব্যের পরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতির মহলে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলা হয়েছিল কোনও ভাবেই বাংলায় সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না। কোনও ভাবেই তাঁরা রাজ্যে সিএএ লাগু হতে দেবেন না। এই নিয়ে তীব্র নিশানা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শশী পাঁজা।