গঙ্গা ভাঙ্গনে গ্রামছাড়া শতাধিক মানুষ
নিউজ ডেস্ক: আবারো গঙ্গা ভাঙন, অসহায় হয়ে বাড়িঘর ভেঙে গ্রাম ছাড়া শতাধিক পরিবার। নদীয়া শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, এই প্রথম নয় প্রতিবছর বর্ষা এলে গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয়। বৃষ্টি হলে প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। নদীয়া শান্তিপুর থানা এলাকার, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, শান্তিপুর পৌরসভা, বেলঘড়িয়া ১ নম্বর এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় দীঘা দীঘা চাষের জমি। একেই লকডাউন অন্যদিকে একমাত্র সম্বল চাষীদের এই জমি গুলি। চাষ করে যেটুকু আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে তাদের। বঙ্গলক্ষী জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, এদিন শান্তিপুর পৌরসভা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরসরাগর এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বাড়িও তলিয়ে গেছে গঙ্গাবক্ষে। সেই আতঙ্কে নিজেদের ঘর ভেঙে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে প্রায় শতাধিক পরিবার। তবে কোথায় যাবে কিভাবে দিন কাটাবে সে বিষয়েও তারা কিছু জানো না। একাধিক ঘরছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোন নেতা বা জনপ্রতিনিধি তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। কিছুদিন আগে জেলাশাসক এবং জেলা সভাধিপতি ঘুরে গেছেন। আশ্বাস দিয়ে গেছেন তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। রানাঘাট কেন্দ্রের জগন্নাথ সরকার এসেছিলেন, তিনিও শেষ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু মিলেছে শুধু প্রতিশ্রুতি। কাজের কাজ কিছু হয়নি। তারা বলেন, কোন কোন সময় কাজ শুরু হয় বটে, কিন্তু সেই কাজ দিয়ে গঙ্গার ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। তারা চাইছে না পাকাপোক্তভাবে গঙ্গার ভাঙ্গন রোধ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই প্রশাসন।
তবে এখনো পর্যন্ত তাদের মেলেনি কোনো আর্থিক সাহায্য। সরকারের তরফ থেকেও খোঁজ নেওয়া হয়নি। এমনিতেই লকডাউন এ কোনরকম একবেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। তার উপর ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে। কিভাবে দিন কাটবে তাই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।