গোদায় চর গ্রামে গিয়ে উন্নয়নের বার্তা দিয়ে এলেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী
৩০ আগস্ট, মালদা : গ্রামটির নাম গোদায় চর। ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস যখন দেশে পালিত হচ্ছে,তখন এই গ্রামে আজও পৌঁছায়নি উন্নয়নের চিটে ফোটাও। না আছে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল, না আছে রাস্তাঘাট,শৌচাগার,যোগাযোগের সুবিধা,স্কুল,চিকিৎসা কেন্দ্র,সরকারি সুবিধা বলতে কোনো কিছুই নেই এই গ্রামে।পশ্চিমবাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্তের নদীর মাঝে অবস্থিত এই গোদায় চর। করুন জীবন যাপনের চরম অবস্থা এই এলাকার মানুষের।চাইছেই পরিবর্তন, কেউ যেনো ভগবান রূপে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুক। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি জলজন্ত্রনায় এখানে ভুগছে মানুষ। পরিবার গুলির সাথে দেখা করে ভাগ্য পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী।

মালদার ভূতনি থানার হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোদায় চর গ্রাম।যেখানে রয়েছে দুটি বুথ। গঙ্গার মাঝের এই দ্বীপে প্রায় দের হাজার পরিবারের বসবাস।কৃষিকাজ ও মৎস্যজীবী এখানের মানুষের প্রধান জীবিকা। দিন যাপনের সামান্য দরকার কয়েক ঘন্টার নদী পার করে মালদার মানিকচক নতুবা ওপরের বিহার ঝাড়খণ্ডে যেতে হয়।বিহার ঝাড়খণ্ড রাজ্যের তরফে দেওয়া নাগরিকত্ব রয়েছে এখানের মানুষদের। তবে তার বেশি কিছু জুটেনি এই সমস্ত পরিবার গুলির কপালে। তিন রাজ্যের মাঝে কার্যত ফুটবলের জীবন এই গোদায় চরের মানুষের। কোনো দিক থেকেই মিলছে না সাহায্য।তবে ভোট আসলে নেতাদের ভোটের রুটি সেকতে এলাকায় দেখা যায়।

বাসিন্দাদের অভিযোগ,ভোট আসে যায়। এদিক অদিকের নেতারা এসে আশ্বাস দেয়।তারপর আর নেই কিছুই। স্কুল , চিকিৎসা কেন্দ্র , রাস্তা , পানীয় জল , যাতায়াতের সুবিধা,শৌচাগার, নিরাপত্তা ,বিদ্যুৎ কিছুই নেই এখানে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেটিও শিক্ষকের অভাবে বন্ধ।মানুষ কোনো ভাবে অসুস্থ হলে ঝাড়ফুঁক প্রথম সম্বল।তবে ডাক্তারি চিকিৎসার অভাবে বেশি ক্ষেত্রে মৃত্যুই হয়। গর্ভবতী মহিলাদের বাড়িতেই প্রসব করানো হয়। পড়াশোনার সঠিক জায়গা না থাকায় অশিক্ষিত হয়েই বড়ো হচ্ছে এই এলাকার শিশুরা।দুস্কৃতি ,তলাবাজির হাত থেকে রক্ষার পর মুখে জুটে খাওয়ার। এমন জীবনে কাটাতে গিয়ে পিঠ থেকেছে দেওয়ালে। সরকারের কোনো সুবিধা এখানে পৌঁছায় না।
এদিকে গঙ্গার জল বেড়ে যাওয়ায় জল যন্ত্রনায় ভুগছে পরিবার গুলি। যদিও এখনো কোথাও থেকে পৌঁছায়নি সরকারি সাহায্য। এদিন এই গোদায় চর পরিদর্শন করেন জেলা বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মিশ্র সহ দলীয় কর্মীরা।
এই গ্রামের মানুষের করুন জীবন যাপন করতে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন বিজেপি নেত্রী।তিনি বলেন,এমন অবস্থায় একটা গ্রাম আছে ভাবতেই অবাক লাগে। এই গ্রামের মানুষ সরকারের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। খুব কষ্টে এখানের মানুষের দিন কাটছে।আমি সর্বশক্তিতে এই গ্রামের জন্য লড়াই করবো। এই এলাকার চিত্র যতক্ষণ না আমি পরিবর্তন করছি ততক্ষণ লড়াই করবো। প্রয়োজন হলে আন্দোলন অনশন সব করবো।আখের মানুষকে কেও মানুষই মনে করেনি। এদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় যে এই পুরো গ্রামকে নেওয়া হয় তার জন্য আমি দিল্লি যাবো।এদের পরিবর্তন না করা পর্যন্ত এই মাটি আমি ছাড়বো না।