300 টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আইসিডিএস ওয়ার্কার কে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে
হরিশ্চন্দ্রপুর, ৫ জুন
করণা সংক্রমণের আশঙ্কা লকডাউন এর জেরে মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক আইসিডিএস ওয়ার্কার কে করণা তহবিলে চাঁদা দেওয়া নিয়ে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক আইসিডিএস সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে।এমনকি চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন ওই আইসিডিএস সুপারভাইজার। এই অভিযোগ নিয়ে সিডিপিও কাছে দরবার করলে ওই আইসিডিএস ওয়ার্কার এর কোনো সুরাহা মিলেনি। এমনকিএরই মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লকের সমাজকল্যাণ আধিকারিক অনুপ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনলেন স্বয়ং দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন।এই মানসিক নির্যাতনের জেরে ওই আইসিডিএস ওয়ার্কার শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওই আইসিডিএস ওয়ার্কার এর নাম মধুমিতা রায় হালদার।দীর্ঘ 10 বছর ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় আইসিডিএস ওয়ার্কার হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা হাটখোলা আইসিডিএস সেন্টারে কর্মরত। মধুমিতা রায় হালদার হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাদতে কাদতে জানালেন করো না মোকাবিলা 300 টাকা করে দেওয়ার জন্য আমার সুপারভাইজার শংকর দাস রায় আমাকে জানায়। আমি জানায় সম্প্রতি আমার মায়ের হাট অপারেশন হয়েছে। এখন একটু অসুবিধা থাকায়আমি কিছু দিনের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দেবো। কিন্তু সেই কথা না শুনে শংকরী দাস রায় আমাকে চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় তার সাথে ফোনে ক্রমাগত আমাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। মায়ের অসুস্থতার মধ্যে আমি এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়। জানিনা এভাবে মানসিক নির্যাতন সহ্য করে কতদিন বেঁচে থাকতে পারবো। এর আগেও ওই শংকরী দাস সুপ্রিয়া মজুমদার নামক 1 আইসিডিএস কর্মী কে অযথা হেনস্থা করেছিল। আইসিডিএস এর অনেক ওয়ার্কার মাঝে মাঝে হেনস্থা হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারেও উনি নাক গলাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লকের সমাজ কল্যাণ আধিকারিক এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
এদিকে এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লক সমাজ কল্যাণ আধিকারিক অনুপ সরকার মধুমিতা রায় হালদারের অভিযোগপত্রে অফিস রিসিভ থাকললেও কোন অভিযোগ পত্র পাননি বলে জানান। অভিযোগ পেলে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি আইসিডিএস সুপারভাইজার করনা মোকাবিলায় চাঁদা তুলছে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইসিডিএস কর্মী জানালেন আইসিডিএস সুপারভাইজার শংকরী দাস এর আগেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ডিপার্টমেন্ট থেকে শংকর দাস রায় কে শোকজ করা হয়েছিলহয়েছিল। করণা মোকাবিলা তে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কর্মীরা সরাসরি টাকা দান না করে কেনইবা সুপারভাইজার কে চাঁদা হিসেবে দেবে এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাছাড়া দানের পরিমাণ নির্ধারণ কেনইবা দপ্তর থেকে করা হবে এই নিউ সাধারণ কর্মীদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠছে। বারবার এই সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কেনই বা তার কোনো ফয়সালা হচ্ছে না এই নিয়েও কর্মীরা সন্দিহান রয়েছেন।
এদিকে দপ্তরের জেলার কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন আইসিডিএস আধিকারিক অনুপ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনলেন। তিনি বলেন আমিও সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনেছি। সেটা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হবে। কিন্তু সিডিপিও বারবার আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে অসহযোগিতা করছেন। দপ্তরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী নন। আজকের এই অভিযোগ নিয়ে আমি ফোন করলে উনি ফোন পর্যন্ত তোলেননি। সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আছে আমি খতিয়ে দেখব।
এদিকে আইসিডিএস এর ওয়ার্কার সুপারভাইজার এর গন্ডগোলের মধ্যে শাসক দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছা প দেখছেন এলাকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।