বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ
নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর, তিনি পশ্চিমবঙ্গের যা ক্ষতি করেছেন তা আরো ভয়ঙ্কর,” বারাসাতে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গে যুব মোর্চার নব নির্বাচিত সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, যুব মোর্চা কর্মীদের ইঁটের বদলে পাথর মারার পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকি তিনি অন্যায় দেখলে প্রয়োজনে পুলিশকে চড় মারার ঘোষণাও করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে যুব মোর্চার সভাপতি নির্বাচিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অন্য শীর্ষনেতাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরো চড়া করলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উগ্রমূর্তি ধরতে যুবমোর্চার কর্মীদের নির্দেশ দিলেন। বারাসাতে এসে সম্বর্ধনাসভার মঞ্চ থেকে কখনও বিষোদ্গার, কখনও হুঁশিয়ারি, কখনও মারমুখী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যুব মোর্চার নতুন সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন তিনি তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরো জোরালো করবেন যা তাঁকে তৃণমূল ছাড়ার পরে বিজেপি কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।ফলতই সৌমিত্র খানের বারাসাতের সভা আগামী দিনের রাজ্য রাজনীতিকে সরগরম করে তোলার ইঙ্গিত রেখে গেল। এদিন একাধারে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন আর পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করার আওয়াজও তুললেন যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্য রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তোলার ইঙ্গিতবাহী।
বারাসাতে শনিবার সন্ধ্যের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রীমোকে আক্রমণ করে তিনি জানালেন, করোনা আতঙ্ক ও বিপর্যয়ের মধ্যেও সভা করতে হচ্ছে কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর এবং করোনার চেয়েও রাজ্যের বেশি ক্ষতি করেছেন।
শনিবার সৌমিত্র খাঁ-র আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।রাজ্য পুলিশ প্রশাসনও তাঁর তোপের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। অতীতের সরণি বেয়ে তিনি বলেন, চোরের গোষ্ঠী তৃণমূলের ওপরে থুতু নিক্ষেপ করে তিনি বিজেপিতে এসেছেন। এরপরই তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দুই শীর্ষ নেতাও নেত্রীকে নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করেন। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে চালচোর আখ্যা দেন। নারদা কেলেঙ্কারির কথা তুলে আক্রমণ করেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।সৌমিত্র খাঁর টার্গেট থেকে বাদ যান নি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও । তিনি সভামঞ্চ থেকে শপথের ভঙ্গীতে ঘোষণা করলেন, তিনমাসের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে বারাসাত তথা উত্তর চব্বিশ পরগনা ছাড়া করবেন।
এখানে থেমে না থেকে বিজেপি নেতাদের গাড়ি বা রাস্তায় আটকালেই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ ও পাল্টা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার অগ্রিম ঘোষণা করে গেলেন নবনির্বাচিত রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তবে তৃণমূল ও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ, বিষোদগারের পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করতে অন্য রাজনৈতিক দলথেকে ভালো কর্মী আনার টোটকাও তিনি দিয়ে গেলেন যা রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।