লকডাউনে ব্যাঙ্গালোর থেকে পায়ে হেঁটে আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরে গুরুতর অবস্থা ধর্মরাজ এর
মালদা: প্রায় ৫ মাস আগে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আহত হয় মালদার মানিকচকের ধর্মরাজ মন্ডল । ৫ মাস ধরে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ,ডান পায়ে পাচন ধরেছে l এমত অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও সহমর্মী নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।জানাযয় শৈশবকালে বাবা কে হারিয়েছে ধর্মরাজ , তারপর থেকেই মা জ্যোৎস্না দেবী কোন ভাবে সংসার চালিয়েছে। মা খুব কষ্টে পড়াশোনা করেছিল ধর্মরাজ কে মাধ্যমিক পর্যন্ত। এরপর পরিবারের চাহিদা মিটাতে ব্যাঙ্গালোরে কাজ করতে চলেযান। ধর্মরাজ সেখানে গিয়ে গত পাঁচ মাস আগে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়। ব্যাঙ্গালোরে প্রাথমিক চিকিৎসা পর লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে কোনভাবে বাড়ি ফিরে আসে ধর্মরাজ। বাড়ি ফিরে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় ধীরে ধীরে ডান পায়ে পাচন ধরে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা হয়নি। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার খবর পেয়ে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও সহমর্মী ফাউন্ডেশন পাশে দাঁড়ায়।স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে তার বাড়িতে গিয়ে ধর্মরাজের শারীরিক অবস্থা দেখেন । অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে তার চিকিৎসা করা হয় এবং জরুরি ওষুধ দেওয়া হয় হাসপাতালে পক্ষ থেকে । অবস্থার অবনতি হলে তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে বা কোলকাতা রেফার করা হবে বলে জানিয়েছে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ।এই বিষয়ে ধর্মরাজের মা জ্যোৎস্না মণ্ডল জানান প্রায় সতের আঠারো বছর আগে ধর্মরাজের বাবা পশুপতি মন্ডল মারা যায়। তারপর থেকেই সংসার কোনভাবে দিনমজুরের চালাই আমি। ধর্মরাজ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর ব্যাঙ্গালোরে দিনমজুরের কাজ করতে যায় ,সেখানে সে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয় । লকডাউনের মধ্যে আহত পায়ে নিয়ে পথ হেঁটে ও কয়েকটি গাড়ি পরিবর্ত করে কোন ভাবে বাড়ি ফিরে আসে।পাঁচ মাস ধরে বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় থাকায় এবং আর্থিক অবস্থা আমাদের খুব খারাপ থাকার জন্য তাকে উন্নত মানের চিকিৎসা করাতে পারেনি। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমার ছেলেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করার হক । আজ তাকে একটি স্বেচ্ছা সেবি সংগঠন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ছিল।এ বিষয়ে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হে নারায়ন ঝা জানান এলাকার একটি স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে ধর্মরাজের ব্যাপারে জানতে পারি তারপর আমরা তার বাড়িতে গিয়ে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছি । তাকে হাসপাতালে নিয়ে আশা হয়েছিল চিকিৎসা করা হয়েছে। জরুরি ওষুধ পত্র দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি বুঝে তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো বা কোলকাতা পাঠানো হবে ।