বাকি আর মাত্র ১৮ দিন
শ্রেয়া দানা: উত্তর না দক্ষিণ? শতবর্ষে এবার কার কি থিম? – এসব এখন অতীত। উত্তর থেকে দক্ষিণ হোক বা পূর্ব থেকে পশ্চিম সব জায়গাতেই চলতি বছর ভার্চুয়াল পুজো। ডিজিটাল লড়াই।
করোনা আবহে ভাটা পড়েছে দুর্গাপুজোয়। নেই কোনো ভালো স্পনসরশিপ। কোনো রকমে কাজ চলছে কুমোরটুলিতে। অচেনা হয়ে পড়েছে কলকাতা। অচেনা হয়ে পড়েছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসব। নেই ব্যানার, হোডিং। চারপাশে নেই থিম পুজোর তাগিদ। পুজোর মরসুমেও যেন ঘুমিয়ে ‘সিটি অফ জয়’।
তা হলে কি থেমে থাকবে বাঙালীর প্রতিমা দেখার উদ্যোগ?
না, বাঙ্গালী আর দুর্গাপুজোয় থেমে থাকবে তা কখনো হয়? হ্যাঁ সব রকম গাইডলাইন মেনে চলবে বাঙালি। কিন্তু নতুন জামা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া, আর সেলফি তোলা থেকে কখনোই বিরত থাকবে না বাঙালি। আর বাঙ্গালী যদি রাস্তাতেই না বেরোয় তাহলে কলকাতার দুর্গাপুজো ফিকে হয়ে যাবে। যতক্ষন না বাঙালি ধুনুচি হাতে কোমর দুলিয়ে না নাচবে ততক্ষণ যেন অষ্টমীর সন্ধারতি পরিপূর্ণ হবে না। যতক্ষণ বাঙালি দশমীতে সিঁদুর না খেলছে ততক্ষণ পূরণ হবে না মায়ের বরণ। সুতরাং দুর্গাপুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায় বাঙালি ছাড়া। তাই যতই বড় ঝড় আর যতই বড় বিপদ আসুক না কেন, দুর্গা পুজো হবে সঙ্গে বাঙালি থাকবে! এটাই তো চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
এই পরিস্থিতিতে প্যান্ডেল গড়া এবং প্রতিমা দর্শনের গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার –
১. উন্মুক্ত থাকবে প্যান্ডেল
২. ২০ জনের বেশি প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করবে না কোনো দর্শনার্থী।
৩. প্যান্ডেলে মজুত থাকবে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
৪. এর সঙ্গে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংও অপরিহার্য।