কঠিন পরিস্থিতিতে আবারও অমানবিকতার ছবি শহর কলকাতায়
নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এক হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় বেশিরভাগ হাসপাতালেই নেই বেড খালি। অভাব অক্সিজেনের। কিন্তু তার মধ্যেও অমানবিকতার ছবি ফুটে উঠছে শহর কলকাতায়। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মাঝপথে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হল বাগুইহাটি রঘুনাথপুর এর এক প্রবীণ বাসিন্দার। আর সেখানেই কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃত দেহকে সোজা বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এই ভাবেই বিভিন্ন জায়গায় অমানবিকতার ছবি ফুটে উঠছে। এই ধরনের ঘটনা বেশ কিছুদিন আগে দক্ষিণ কলকাতাতেও ঘটেছিল। মাঝপথে মৃত্যু হওয়ায় চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিতেও রাজি নন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যু পর এখনো পর্যন্ত ওই ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়নি। এই সংকটকালে সাহায্যে কার্যকারী হাত এগিয়ে আসছে না ওই ব্যক্তির দিকে। কাতর হয়ে আবেদন করছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। যিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্য ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাগুইহাটিতে। এই ঘটনাটি বাগুইহাটি থানা পর্যন্ত গেলে সেখানকার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রঘুনাথ পুরের বাসিন্দা প্রাক্তন রেল কর্মী ও তার স্ত্রী দুজনেই করোনার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাদের একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এখানে স্বামী-স্ত্রী একাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয় প্রাক্তন রেলকর্মীর। বিপদের সময় বেশি টাকা দিয়েই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বেরিয়ে পড়েন করোনা আক্রান্ত স্ত্রী। কিন্তু হাসপাতালে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালই। এমনকি অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই আম্বুলান্স এর মধ্যে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কিন্তু কি অমানবিক অ্যাম্বুলেন্স চালকও। কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাদের সোজা আবার বাড়ির সামনেই নামিয়ে দেয়। নিজের স্বামীর মৃতদেহ সৎকারের উপায় খুঁজে পান না স্ত্রী। কারণ চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে চান না। এই ধরনের অমানবিকতার চিত্র প্রায় প্রতিদিনই ফুটে উঠছে শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে।