সম্পূর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দিয়ে বিদায় জানান হল লতা মঙ্গেশকরকে
নিউজ ডেস্ক:সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে বিদায় জানানো হল সঙ্গীতের ঈশ্বরকে শিবাজি পার্কে জনসমুদ্র। তাঁদের প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল গোটা চত্বর। এদিন রাজনীতি, সিনেমা, সঙ্গীত, ক্রীড়া জগতকে এক ছাদের তলায় এনে দাঁড় করালেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।গলার জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন তাঁর ভক্তদের। প্রতিটি সঙ্গীত প্রিয় মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ‘আইকন’।
সাধারণ মানুষ থেকে সমস্ত ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষের ভিড়ে শিবাজি পার্ক ভরে গিয়েছে। তাঁর গানের মধ্যে দিয়েই তাঁকে স্মরণ করা হয়েছে এই শিবাজি পার্ক। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার মধ্যে দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে বিদায় জানানো হল সঙ্গীতের ঈশ্বরকে। এদিনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তেমনই উপস্থিত ছিলেন, সপরিবারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, রাজ ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, অজিত পাওয়ার, পীযূষ গোয়েল। পরিবারের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর, বোন ঊষা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে । উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান, আমির খান, রণবীর কাপুর, বিদ্যা বালন, জাভেদ আখতারের, শঙ্কর মহাদেবনের মত ব্যক্তিত্ব। আর ছিলেন তাঁর ‘পুত্র’ শচীন তেন্ডুলকার। তাঁর মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মোদী। তারপর একে একে উপস্থিত সকলেই পুষ্পস্তবক দিয়ে সুর সম্রাজ্ঞীকে বিদায় জানান। তাঁর মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করলেন সকলেই। পার্কের প্রায় ২ হাজার বর্গফুট জায়গা শ্মশানের জন্য ব্যারিকেড করা হয়েছিল। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের জন্য দেখার জন্য দুপুর ১টা থেকেই সাধারণ মানুষরা ভিড় করেন পার্কে। ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের প্রাপক, লতা মঙ্গেশকর ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তিনি। তাঁর চলে যাওয়া যে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি, তা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে গোটা দেশে দু’দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। মুম্বই সরকার আগামীকাল ছুটিও ঘোষণা করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রিয় পাত্র ছিলেন লতা। সবার মনে মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। অনেকেই মনে করেন, সরস্বতী যেন স্বয়ং লতা রূপে ধরা দিয়েছিলেন পৃথিবীতে। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে ৮ঃ১৪ নাগাদ ৯২ বছর বয়সেই ছেড়ে চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী। ২৮ দিন ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি হাসপাতালের বেডে। সঙ্গে ছিল ফুসফুসে সংক্রমণও। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।