মেক্সিকান ঘাস দিশা দেখাচ্ছে আয়ের
নিউজ ডেস্ক বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে সবুজ ঘাস। তবে এ ঘাস গরু খাবে না। ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না ছাগল।
ঘাস দিয়ে তৈরি হয় কার্পেট। ভারতবর্ষ তো বটেই, বিদেশেও এর চাহিদা বেশ ভালরকমের। ছাদে বা বাড়ির বাগানে এই কার্পেটের মতো ঘাস বিছিয়ে দিলেই হল। এরপর রোদ-জল পেলে দিব্যি বেঁচেবর্তে সবুজ ছড়াবে ঘাসের কার্পেট। উত্তর ২৪ পরগনায় নিউটাউন লাগোয়া রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ জমিতে এর চাষ হয় বছরভর। কয়েক হাজার কৃষকের রুটিরুজির সংস্থান এই ঘাষ চাষ করে, বিক্রি করে।
ঘাসচাষিরা আড়াই বাই চার ফুট অর্থাৎ ১০ ফুটের ছোট ছোট কার্পেট তৈরি করেন। সেগুলিই রোল করে বড় বান্ডিল করে তা গাড়ি বোঝাই হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যায়। বিক্রি হয় চড়া দামে। মাঠ থেকে যে কার্পেট সরাসরি তিন থেকে চার টাকা বর্গফুট দরে পাইকারি বিক্রি হয়। রিটেলে তার দাম দশ টাকা বর্গফুট। রাজারহাটের এক নামকরা নার্সারির মালিক জানিয়েছেন, “ঘাস চাষে কখনও লোকসান হয় না। এর লাভের অঙ্ক এবং বিশ্ব জুড়ে চাহিদা দুটোই উর্দ্ধমুখী। তাই এই অঞ্চলে একজন কৃষক অন্যকে দেখে ঘাস চাষ শুরু করেন।” এই প্রবনতার ফলে এখন নিজেদের জমিতে নার্সারি তৈরি করে হাজার কয়েক চাষি ঘাস বুনতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নিউটাউনে বিশ্ববাংলা সরণির ডিভাইডারগুলি মেক্সিকান ঘাস ও সিলেকশান ঘাসের কার্পেটে মুড়ে দেওয়া